গৃহবধু রানীর মরদেহ রেখে পালিয়েছে স্বজনরা

চাঁদপুর: চাঁদপুর শহরের পুরান বাজারে পূজা রানী দাস (২০) নামের এক গৃহবধূ গলায় ফাঁম দিয়ে মৃত্যুবরণ করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। শনিবার (৪ মার্চ) সকালে পুরান বাজার হরিসভা এলাকায় এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
গৃহবধুর মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতালে তার লাশ রেখে পালিয়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তাই এটি কি হত্যা নাকি আত্মহত্যা এ নিয়ে রয়েছে সংশয়।
নিহত গৃহবধূ পূজা রানী দাস পুরান বাজার হরিসভা এলাকার সুমন দাসের স্ত্রী ও চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের চান্দের বাগ গ্রামের গণেশ দাসের কন্যা।
স্থানীদের ধারণা গৃহবধূ পূজা রানী দাস গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এদিকে তার পরিবারের লোকজন বলছেন এটি কোন রহস্যজনক মৃত্যু।
নিহতের স্বজনরা জানান, শনিবার (৪ মার্চ) সকালে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাদেরকে মুঠোফোন বলেন, যে তাদের মেয়ে পূজা রানী অসুস্থ। তার অবস্থা তেমন ভালো না। এই খবর শুনে তারা দ্রুত ২৫০ শয্যা চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পাশে তাদের মেয়ের মৃত দেহ পড়ে থাকতে দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
এদিকে হাসপাতাল ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায় শনিবার সকালে গৃহবধূ পূজা রানী দাসকে মৃত অবস্থায় স্বামী সুমন ও তার পরিবারের একাধিক লোকজন তাকে দ্রুত চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার ওমর ফারুক সবুজ তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আর এই খবর শুনেই হাসপাতালে গৃহবধূর লাশ রেখে পালিয়ে যায় স্বামীসহ তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার ওমর ফারুক সবুজ বলেন, ঘটনাস্থল থেকেই তাকে মৃত অবস্থায় তার স্বজনরা হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন। বিষয়টি আমাদের সন্দেহজনক মনে হলে আমরা লাশ হাসপাতালে রেখে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশকে অবগত করি।
এমন মৃত্যুর ঘটনার বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশকে অবগত করলে। খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে লাশের শ্রুতাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নিয়ে যান।
এ বিষয়ে চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুর রশিদ জানান, প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি এটি গলায় ফাঁশ দিয়ে মৃত্যু হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য আমরা মর্গে পাঠিয়েছি। বাকিটা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলেই নিশ্চিত করে বলা যাবে।
ফম/এমএমএ/

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | ফোকাস মোহনা.কম