উপমহাদেশের প্রখ্যাত সুরকার-সঙ্গীত পরিচালক শেখ সাদী খান ও সময়ের জনপ্রিয় তরুণ সুরকার মুরাদ নূর। দু’জনের গুরু শিষ্যের সম্পর্ক বহুদিনের। এবার দু’জন একই মঞ্চে সৃষ্টিশীলতার সুতায় মালা হচ্ছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয় ও জাতীয় শিল্পকলা একাডেমির পৃষ্ঠপোষকতায় নূর ক্রিয়েশনসের আয়োজনে মুরাদ নূরের সুরে, শেখ সাদী খানের সঙ্গীত পরিচালনায় পাঁচটি মৌলিক দেশের গান প্রকাশিত হতে যাচ্ছে।
গতকাল রাজধানীর একটি স্টুডিওতে গানগুলোর কণ্ঠধারণের কাজ শুরু হয়। গোলাম মোর্শেদের কথায়, প্রথম গানটি গেয়েছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সাব্বির জামান। দেশের বরেণ্য গীতিকবিদের কথায়, তরুণ কণ্ঠশিল্পীদের কণ্ঠে আসছে পহেলা ডিসেম্বর “বিজয়ের উল্লাস” শিরোনামে শিল্পকলার সঙ্গীতশালা মিলনায়তনে সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষদের উপস্থিতির অনুষ্ঠানে গানগুলো প্রকাশিত হবে।
বিজয়ের উল্লাসের আয়োজক সুরকার মুরাদ নূর বলেন, আমার সঙ্গীত গুরু শেখ সাদী খানজ্বীর নামের সাথে সৃষ্টিশীলতায় যুক্ত হবো!! এটা দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। আজ তা পূর্ণ হতে চলছে। স্বপ্নপূরণে সংশ্লিষ্ট সকলের পাশে থাকায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমরা দেশের গান বেঁধে ইতিহাস শুরু করছি, এটাই গর্বের। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
সঙ্গীত পরিচালক শেখ সাদী খান বলেন, নূর আমাকে গুরু ডাকে, আমিও তাঁকে পছন্দ করি। তাঁর সৃষ্টিশীলতার আগ্রহ, শেখার প্রচেষ্টা আমাকে মুগ্ধ করে। কথার সাথে সমন্বয় করে সুর করার চেষ্টা করেছে, তরুণরাই তো আমাদের ঐতিহ্যের সংস্কৃতি এগিয়ে নেবে। নূরকে দোয়া ও ভালোবাসা। সাব্বির সহ বাকীরাও পরিক্ষিত কণ্ঠশিল্পী। নিশ্চয়ই ভালো কিছু হবে।
কণ্ঠশিল্পী সাব্বির বলেন, বন্ধু মুরাদ নূরকে ধন্যবাদ ঐতিহাসিক এমন প্রজেক্টে আমাকে সিলেক্ট করার জন্য। এই গানটি আমার জীবনের অন্যতম মৌলিক দেশের গান। সবার দোয়া চাই।
প্রথম গান রেকর্ডিং-এ উপস্থিত ছিলেন, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, শিল্পকলা একাডেমির প্রতিনিধিবৃন্দ ও অনুষ্ঠান আহবায়ক নির্মাতা বদিউল আলম খোকন। তিনি বলেন, আগামী পহেলা ডিসেম্বর ২০২৩, সন্ধায় জাতীয় শিল্পকলা একাডেমিতে গানের রুপ-রুটের সমন্বয়ে শামসী শায়েকার কোরিওগ্রাফিতে প্রকাশিত হবে।
ফম/এমএমএ/