
ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর): সময়ের সাথে সাথে হারিয়ে গেছে খোলা আকাশের নীচে পীড়িঁতে বসে চুল কাটার সেলুন দোকান। সেলুনে এসেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। এসি থেকে শুরু করে আধুনিক যন্ত্রপাতি সবকিছুই আছে বর্তমান সেলুনে ।
আধুনিকতা আর বিলাসিতার ছোঁয়ায় বহু আগেই হারিয়ে গেছে খোলা আকাশের নীচে পীড়িঁতে বসে চুল কাটার সেলুন । কিন্তু এর ব্যাতিক্রম হয়ে আজও খোলা আকাশের নীচে সেলুন দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের খাড়ঁখাদিয়া গ্রামের ওমর ।
তার পিতা রত্নেরস্বর জীবনের প্রায় পুরো সময় খোলা আকাশের নীচে পীড়িঁতে বসিয়ে চুল কেটে সংসার পরিচালনা করেন ।
পাঁচ বছর যাবত বয়সের ভারে শারীরিক সমস্যা নিয়ে বিছানায় মৃত্যুও প্রহর গুনছে । পিতার এই পেশায় বহু আগেই বাবার সাথে যুক্ত হন ওমর । পৈতৃক পেশায় সংসারের রাশ টানতে ওমর কৃ খোলা আকাশের নীচে সেলুনের দোকান নিয়ে চান্দ্রা বাজারে একটি গল্লিতে বসে থাকেন । সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খোলা থাকলেও ওমরের সেলুনে তেমন ভিড় নেই । মাঝে মধ্যে কিছু বৃদ্ধ বয়স্ক মানুষেরা ওমরের সেলুনে আসলেও শিশু থেকে শুরু করে যুবকরা সবাই চলে যায় বাজারের উন্নত মানের সেলুনে ।
দৈনিক ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা অথবা শূণ্য হাতেই ঘরে ফিরতে হয় ওমরের । দুই সন্তানের জনক ওমরের সংসারে কষ্টের যেনো শেষ নেই । মুলধনের অভাবে ওমর আধুনিকতার সাথে পাল্লা দিতে পারছে না । তেমনি পৈতৃক পেশার বাহিরে ও ওমরের নেই কোন শিক্ষা । ওমরের বেঁচে থাকার এই লড়াইয়ে কে দাঁড়াবে ওমরের পাশে ? প্রতিটি মানুষের মত সুন্দর ভাবে বেচেঁ থাকার স্বপ্ন পূরণ হবে সরকারি সহযোগিতার পেলে ।
ফম/এমএমএ/