মতলব উত্তর (চাঁদপুর): খাজা মোজাম্মেল হক (রহঃ) ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে মতলব উত্তর উপজেলার প্রায় দুই শতাধিক গরীব ও দুঃস্থ পুরুষ মহিলা জাকেরবৃন্দের উপস্থিতিতে কুমিল্লা অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়কারীর নেতৃত্বে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে পণ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার দূর্গাপুর ওবায়েদ হাওলাদার বাড়ির উঠানে এই পণ্য সামগ্রী বিতরণের জন্য সহকারী সমন্বয়কারীগণ, খাদেমবৃন্দ এবং সামগ্রী প্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে টিম গঠন করে প্রাপ্যদের মাঝে সুশৃঙ্খলভাবে বিতরণ করা হয়।
খাজা মোজাম্মেল হক ফাউন্ডেশন কর্তৃক গরীব ও দুঃস্থদের মাঝে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়ে থাকে প্রতি বছর। সেলাই মেশিন ও কাপড়, হাঁস মুরগী পালন, ভ্যানগাড়ি, ছাগল প্রকল্প, চায়ের দোকান, শাক-সবজির ব্যবসা, কবুতর পালন, লাকড়ি ব্যবসা ইত্যাদি প্রায় ১৮ রকমের পণ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। মোজাদ্দেদীয়া তরিকত মিশন এবং খাজা মোজাম্মেল হক এর জাকেরবৃন্দের মাঝে এসব সামগ্রী বিতরণ করা হয়। বৃহত্তর কুমিল্লা অঞ্চলে ৬ লাখ ৫৯ হাজার টাকার অনুদান দেওয়া হয় ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে।
অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, খাজা মোজাম্মেল হক (রহঃ) ফাউন্ডেশনের বৃহত্তর কুমিল্লা অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়কারী ইঞ্জি. খোরশেদ আহমেদ, উপ-প্রধান সমস্বয়কারী মোঃ ওয়ালী উল্লাহ মাস্টার, মোঃ ওবায়েদ হাওলাদার, ফাউন্ডেশনের সদস্য নাফি আহমেদ, স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ মানিক মিয়াজী, দূর্গাপুর জনকল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোঃ কামাল হোসেন, কুমিল্লা অঞ্চলের সকল খাদেম এবং অনুদান প্রাপ্ত জাকেরবৃন্দ।
জানা গেছে, ফাউন্ডেশনের বিতরণকৃত অর্থ দিয়ে গরীব ও দুঃস্থদের স্বাবলম্বী করার জন্য বিগত অনেক বৎসর হতে এই কার্যক্রম চালু করা হয়। বৃহত্তর ময়মনসিংহ, বৃহত্তর উত্তরবঙ্গ, বৃহত্তর কুমিল্লা, বৃহত্তর ঢাকা ও সিলেট অঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় ফাউন্ডেশনের আওতাধীন অঞ্চলগুলোতে একত্রিত করে বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী ক্রয় করার ব্যবস্থা করার জন্য চেয়ারম্যান এর নির্দেশ মোতাবেক ফাউন্ডেশনের প্রধান সমন্বয়কারী, সহকারী সমন্বয়কারী, খাদেমদেরকে নিয়ে টিম গঠন করে উক্ত সামগ্রী গরীবদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়।
ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান খাজা টিপু সুলতান এক বার্তায় বলেছেন, এই পন্য সামগ্রী যত্ন সহকারে ব্যবহার করে যারা এ যাবৎ কাল পর্যন্ত পরিশ্রম করে তা যথাযথভাবে ব্যবহার করছেন, তাদের অবস্থা অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে।
তিনি বলেন, পরিশ্রম না করে ঘরে বসে থাকলে জীবনে কোনদিন গরিবি হটানো যাবে না। যারা পরিশ্রম করেছেন এবং করেন তাদের অনেকেই জীবন জীবিকার পরিবর্তন হয়েছে। এবং ফাউন্ডেশনের জন্য গর্বিত। এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান।
ফম/এমএমএ/