খন্দকার মোস্তাকের মতো লোকদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে: এসপি মিলন মাহমুদ

বক্তব্য রাখছেন পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ।

চাঁদপুর: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা পুলিশের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৫ আগষ্ট) রাতে চাঁদপুর শহরের বাবুরহাট পুলিশ লাইন্স ড্রিলশেডে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করে জেলা পুলিশ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলা সুযোগ্য পুলিশ সুপার (এসপি) মোঃ মিলন মাহমুদ বিপিএম-বার।

আলোচনা সভায় উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে সংঘটিত নৃশংসতম হত্যাকান্ড বিষয়ক তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল শেষে পুলিশ সুপার পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে নৈশভোজে অংশগ্রহণ করেন।

এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) সোহেল মাহমুদ পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম পিপিএম, চাঁদপুর’সহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকাল ৯টায় জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচির অংশ হিসেবে চাঁদপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে চাঁদপুর সরকারি কলেজে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ও পুলিশ লাইন্স চাঁদপুর ‘চেতনায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে’ শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন চাঁদপুর জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদসহ পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ।

এছাড়াও জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার।

বক্তব্যে তিনি জাতীয় শোক দিবসে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যসহ সকল শহিদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান।

তিনি বলেন, জাতির পিতার দুটি স্বপ্ন দেখতেন একটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও অপরটি সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ। এর একটি তিনি তার জীবদ্দশায় আমাদেরকে দিয়ে গেছেন। সোনার বাংলা বিনির্মাণের জন্য দেশ পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেছিলেন সেটা সমাপ্ত করতে পারেন নাই। বঙ্গবন্ধুর এই অসমাপ্ত কাজ তারই কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক দূরএগিয়ে নিয়ে গেছেন, আমরা চাই বাকি কাজটুকু তার হাতেই শেষ হোক। তবে আমাদের সকলেরই খন্দকার মোস্তাকের মতো লোকদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে।
ফম/এমএমএ/

ফোকাস মোহনা.কম