অননুমোদিতভাবে বালু কিংবা মাটি দিয়ে জমি ভরাট কার্যক্রমের সন্ধান পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। একই সঙ্গে আবাসন, বাণিজ্যিক ও শিল্পকাজে কৃষিজমির অননুমোদিত ব্যবহার প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বিভাগীয় কমিশনারদের নির্দেশ দেন তিনি।-খবর বাংলানিউজ২৪.কম।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত বিভাগীয় কমিশনার সমন্বয় সভায় বিভাগীয় কমিশনারদের এ দিকনির্দেশনা দেন ভূমিমন্ত্রী।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্বাছ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে এম শামিমুল হক, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সবুর মন্ডল, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ, দেশের সকল বিভাগীয় কমিশনারসহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
খাদ্যনিরাপত্তা ও পরিবেশ সুরক্ষায় দুই ও তিন ফসলি কৃষিজমি রক্ষার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনের কথা পুনর্ব্যক্ত করে ভূমিমন্ত্রী বলেন, দুই ও তিন ফসলি কৃষিজমি রক্ষায় স্থানীয় পর্যায়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। অবৈধভাবে জমির উপরি-স্তর কর্তন অথবা জমিতে বালু বা মাটি দ্বারা ভরাট রোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দ্রুত অবহিত করতে উৎসাহিত করতে হবে স্থানীয় সচেতন জনতাকে এবং অবৈধ ঘটনা রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
এ সময় বিভাগীয় কমিশনারদের ভূমিমন্ত্রী জানান, কৃষিজমি সুরক্ষা ও পরিবেশ রক্ষায় ভূমি জোনিং ও সুরক্ষা আইন, ২০২৪ (খসড়া) চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত ভূমি জোনিং ও সুরক্ষা আইন, ২০২৪ আইনের উদ্দেশ্য হচ্ছে, অপরিকল্পিতভাবে নগরায়ন, আবাসন, বাড়ি-ঘর তৈরি, উন্নয়নমূলক কার্যক্রম, শিল্প-কারখানা ও রাস্তাঘাট নির্মাণরোধ করা; ভূমির শ্রেণি বা প্রকৃতি ধরে রেখে পরিবেশ রক্ষা ও খাদ্য শস্য উৎপাদন অব্যাহত রাখা; কৃষিজমি, বনভূমি, টিলা, পাহাড়, নদী, খালবিল ও জলাশয় সুরক্ষাসহ ভূমির পরিকল্পিত ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা; এবং ভূমির ব্যবহার নিশ্চিত করে পরিকল্পিত জোনিং এর মাধ্যমে ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহারে রাষ্ট্রীয় অনুশাসন নিশ্চিত করা।
সভায় প্রদর্শিত এক সচিত্র ব্রিফে দেখা যায়, বিগত এক মাসে খতিয়ান ডেলিভারির দিক দিয়ে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে বগুড়া, ঠাকুরগাঁও, ঝালকাঠি, নওগাঁও, মেহেরপুর, লক্ষ্মীপুর, মানিকগঞ্জ, পিরোজপুর, মুন্সিগঞ্জ ও দিনাজপুর জেলা। জনবল, সায়রাত মহাল, ভূমি ব্যবস্থাপনা সিস্টেম, ভূমি অফিস, আন্তজেলা সীমান্ত, জরিপসহ ভূমি বিষয়ক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় সমন্বয় সভায়।
ফম/এমএমএ/