
এমন দুর্যোগপুর্ণ প্রতিকুল আবহাওয়ায় মধ্যেই কাজ করতে হয় প্রবাসীদের। এমন আবহাওয়াতে নির্মাণ শ্রমিক, কৃষি খামার, পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ যারা বাইরে কাজ করেন তাদের কষ্টের যেন শেষ বললেই চলে। আর এমন প্রতিকুল আবহাওয়ায় সবচেয়ে কষ্টে দিন কাটান কৃষি অঞ্চল বলে খ্যাত কুয়েতে দুটি এলাকা ওয়াফরা এবং আব্দালীর প্রবাসীরা।
গত কয়েকদিন ধরে কুয়েতের আন্দোলুস সহ বিভিন্ন শহরে প্রচুর ধূলিবাতাস দেখা দিয়েছে। বাতাস সাথে প্রচন্ড ধূলি-বালির মধ্যেই কষ্টের সাথে কাছ করে যাচ্ছেন প্রবাসীরা।
সনদ কুমার নামে একজন প্রবাসী জানান, গরমে কাজ করতে করতে তারা অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। কিন্তু ধূলিঝড়ের সময় বেশি সমস্যায় পড়তে হয়। কিন্তু যেমন আবহাওয়াই হোক তারা কাজ বন্ধ রাখতে পারেন না। ডিউটিতে আসতেই হবে।
আন্দোলুস এলাকার গোলাপ নামে একজন রোডক্লিনার বলেন, এই ধূলিবাতাসের মধ্যে ডিউটি করতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয় আমাদের। কারণ আমরা বাহিরে কাজ করি। কিন্তু কিছু করার নেই। প্রবাস জীবন, আমাদের ডিউটিতে আসতে হবে।
অফরা অঞ্চলের প্রবাসী গাড়ি পরিষ্কারের কাজ করা আব্দুসছাত্তার বলেন, আগে প্রতিদিন ভোরে উঠে একবার গাড়ি পরিষ্কার করলেই হতো। কিন্তু ধূলিবাতাসের কারণে এখন কয়েকবার পরিষ্কার করতে হয় গাড়ি।
উল্লেখ : গত বছর (২০২১) ১০ জুন থেকে কুয়েতে শুরু হয়েছিলো প্রচণ্ড ধূলিঝড় যা ১৮ জুন পর্যন্ত অব্যাহত ছিলো। বেশিরভাগ সময় ধূলিঝড়ের স্থায়িত্ব থাকে এক দুই দিনের মতো। দেশটির সরকার শ্রমিকদের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনা করে প্রতি বছরই বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ থাকে। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছর শীতের শেষ মৌসুমে গরম আসার আগে এমন হয়। আগামী দুই একদিন এমন পরিস্থিতি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় কুয়েত সরকার সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

