কালও ক্লাস হয়েছিল স্কুলটিতে, আজ নদী গর্ভে!

ছবি: সংগ্রহীত।

পদ্মা নদীর পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিয়েছে ভাঙন। শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকালেও রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের চরসিলিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

মিজানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবারও এই বিদ্যালয় ভবনে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করেছে। আর সেই ভবনটি কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। গত কয়েক বছর বেশ কয়েকটি বিদ্যালয় ভবন, হাজারো ঘরবাড়ি এভাবেই নদী গর্ভে হারিয়ে গেছে।

তিনি আরো জানান, নদীর পানি কমে যাওয়া তীব্র স্রোত দেখা দিয়েছে। যে কারণে তার ইউনিয়নের পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকায় ফের ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই নদী তীর রক্ষা বাঁধের বেশ কয়েকটি স্থান ধসে গেছে। বিষয়টি তারা ঊদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন।

রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, রাজবাড়ী শহর রক্ষায় পদ্মা নদীর তীর স্থায়ী সংরক্ষণ কাজ হয়েছে মোট সাড়ে সাত কিলোমিটার এলাকায়। এর মধ্যে রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর আর বরাট ইউনিয়নে পাঁচ কিলোমিটার নতুন করে নদীর তীর স্থায়ী সংরক্ষণ করা হয়। এ ছাড়া আড়াই কিলোমিটার পূর্বের কাজ সংস্কার করা হয়। কাজের মোট ব্যয় ধরা হয় ৩৭৬ কোটি টাকা। কাজটি বাস্তবায়ন করে খুলনা শিপ ওয়ার্ড। ২০১৮ সালের জুনে শুরু হয় কাজ শেষ হবার কথা ছিল ২০২০ সালের জুনে। কাজের মেয়াদ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এক বছর বাড়িয়ে চলতি বছরের মে মাসে শেষ করে।

তবে রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, তারা কাজ এখনো বুঝে নেয়নি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজের মেয়াদ আরো এক বছর বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছে। এই সময়ে ভেঙে যাওয়া এলাকা মেরামত করে কাজ আমাদের বুঝিয়ে দিবে।-খবর কালেরকন্ঠ।

ফম/এমএমএ/

ফোকাস মোহনা.কম