কল্যাণপুরের কালীভাংতি ব্রিজটি সংস্কারকরার দাবি

চাঁদপুর: চাঁদপুর সদর উপজেলার ৩ নং কল্যাণপুর ইউনিয়নের কালীভাংতি ব্রিজটির নতুন করে সংস্কারসহ সম্প্রসারণ করার দাবি করেছেন এলাকাবাসী। স্থানীয় সরকারের এলজিইডি বিভাগ এ ব্রিজটি দীর্ঘদিন যাবৎ সংস্কার ও সম্প্রাসরণ করার দাবি করেও এখন পর্যন্ত সম্প্রসারণ না হওয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। কালীভাংতির এ গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজটি দীর্ঘদিন যাবৎ ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচলসহ পথচারীরা যাতায়াত করে আসছে।

সংকীন্ন এ ব্রিজটি দিয়ে বর্তমানে যান বাহন চলাচল করতে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন  হতে হচ্ছে।এই ব্রীজটি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় কয়েক হাজার মানুষ ও শত শত ছোট বড় যানবাহন চলাচল করে।এছাড়াও এই অঞ্চলের কৃষকের উৎপাদিত  মৌসুমি ফসলাদি সঠিক সময়ে পরিবহন সংকটের কারনে বাজারজাত করতে পারছে না।বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়রা কয়েকবার উপজেলা প্রকৌশলীর ধারস্থ হয়ে কোন প্রকার লাভ হয়নি।

স্থানীয়রা নিজেদের অর্থে ব্রীজটি করার  উদ্যোগ নিয়ে উপজেলা প্রকৌশলীকে অবগত করেও সেখান থেকে সাড়া মেলেনি। এখন ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ন্য অবস্থায় রয়েছে।সংস্কারসহ সম্প্রসারণ না করলে যে কোন সময় বড় ধরনের র্দুঘটনার আশংকা করছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কালীভাংতি থেকে কল্যাণপুরের রাস্তাটি শুরু হয়ে ইউনিয়নের প্রতিটি সড়কের সাথে সংযুক্ত রয়েছে। অনেক পুরনো এ ব্রিজটি পুরোনো মডেলে এখনো রয়েছে। সড়কটি কয়েকদফা সংস্কার হলে ও ব্রিজটি সংস্কারসহ সম্প্রসারণ করা হয়নি। কিন্তু কালী ভাংতি   ব্রিজটিকে চওড়া করার কোনও উদ্যোগই নেওয়া হয়নি।ব্রিজটি এতই সংকীর্ণ যে একটা চার চাকা গাড়ি ঢুকলে তার পাশ দিয়ে একটি সাইকেল যাওয়ার রাস্তা টুকুও থাকে না।এছাড়াও ব্রীজটির এতটাই জরাজীর্ণ যে বিভিন্ন স্থান থেকে কংক্রীটের আস্তরণ দেখা যায়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ব্রীজটি সম্প্রসারণের ব্যাপারে সড়ক ও জনপদ বিভাগের ঊর্ধ্বতন  কর্তৃপক্ষই  উদাসীন। একদিকে যেমন সেতু চওড়া করা প্রয়োজন। তেমনই আবার পুরোনো ব্রিজটি সংস্কারেরও প্রয়োজন আছে।পুরো পথ ঠিকমত আসলেও কালীভাংতিতে এসে এ ব্রিজটির জন্য সকলকেই একটু প্রতিবন্ধকতার সমুক্ষিণ হতে হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম শাহীন পাটওয়ারী বলেন, ‘ব্রিজটি দিয়ে একটি গাড়ি পারাপার করলে অন্য গাড়িকে ব্রিজের উল্টো দিকে দীর্ঘ ক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। কে আগে ব্রিজে উঠবে, তা নিয়েও নিত্য গাড়ি চালকদের মধ্যে ঝগড়া বাধে। তা ছাড়া ব্রিজটি সরু হওয়ায় পারাপারের সময় বেশ কয়েক বার মোটর বাইকের সঙ্গে ছোট গাড়ির ধাক্কা লাগার মতো ঘটনাও ঘটেছে।’ গাড়ি চালকরা বলেন, ‘ব্রিজটি সরু হওয়ায় যাতায়াতে খুবই সমস্যা হয়। ব্রিজ চওড়া হলে দু’টি গাড়ি এক সঙ্গে যাতায়াত করতে পারবে। এতে আর দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকবে না।’ এই কারণে পুরোনো ব্রিজ ভেঙে নতুন ব্রিজ তৈরি করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

চাঁদপুর সদর উপজেলা প্রকৌশলী স্থেহাল রায়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সরকারি সম্পত্তিতে ব্যাক্তি টাকা দিয়ে ব্রীজ  নির্মান করার সুযোগ নেই।তালিকা দেওয়া হয়েছে, সয়েল টেস্ট এখনো হয়না। ইমারজেন্সি ফাইলে পাঠিয়ে দিয়েছি।ঢাকা থেকে সয়েল টেস্টেও অনুমতি দিলেই সয়েল টেস্ট করে পাঠাবো। অপেক্ষা করতে হবে।

চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান এ বিষয়ে জানান, ব্রিজটি জরাজীর্ণ। বিষয়টি স্থানীয়রা আামকে জানিয়েছে। এটা দেখবাল করে স্থানীয় সরকার বিভাগের এলজিইডি দপ্তর। তাদের সাথে আলাপ করে ব্রিজটি নির্মানসহ সম্প্রসারণ করার বিষয়টি জরুরী ভাবেই দেখা হবে।

ফম/এমএমএ/

গাজী মো. ইমাম হাসান | ফোকাস মোহনা.কম