কর্মসংস্থান তৈরীর প্রত্যাশা হাইমচরের উদ্যোক্তা রনির

চাঁদপুর : চাঁদপুরে হাইমচরে ক্ষুদ্র পরিসরে জামদানি শাড়ি তৈরি করে সাড়া ফেলেছেন রনি পাটোয়ারী নামে যুবক। তিনি উপজেলার দক্ষিণ আলগী দুর্গাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম চর কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা। এই জামদানি শাড়ি দেশজুড়ে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে চান এই উদ্যোক্তা। তার প্রত্যাশা এই কাজে অনেকের কর্মসংস্থান তৈরী হবে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিজের একটি দোচালা টিনের ঘরে ক্ষুদ্র পরিসরে জামদানি শাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত রনি। তার এই কাজে সহযোগিতা করেন পরিবারের সদস্যরা।

শাড়ি তৈরির উদ্যোক্তা রনি বলেন, আমরা ৭ ভাইবোনসহ পরিবারের সবাই মিলে জামদানি শাড়ি তৈরির কাজ করছি। ইতিমধ্যে ভালো সাড়া পেয়েছি। এ কাজে আরো অনেকের কর্মসংস্থান তৈরির প্রত্যাশা করছি। এজন্য আমার সরকারি-বেসরকারি সহয়তা খুব প্রয়োজন।

তিনি আরো বলেন, আমার তৈরি একটি জামদানি শাড়ির বর্তমান মূল্য ৩ হাজার ৭০০ টাকা থেকে আট হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে কারো চাহিদানুযায়ী অর্ডার পেলে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা দামের জামদানি শাড়ি তৈরিও করতে পারি। আমার এ কাজকে এগিয়ে নিতে আমি সবার দোয়া ও সহযোগিতা চাই।

রনির বাবা বিল্লাল পাটোয়ারী বলেন, প্রায় ২০ বছর আগে পারিবারিক অভাব কাটাতে রনি হাইমচর ছেড়ে পাড়ি জমায় নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলায়। পরে সেখানে নানা জায়গায় থেকে জামদানি কাপড় বোনার পুরো কাজ রপ্ত করে পুনরায় এলাকায় ফিরে আসে। পড়াশুনা না থাকলেও এখন এই শাড়ি বিক্রিতেই সংসারের হাল ধরেছে রনি।

রনির মা সালমা বেগম বলেন, সুতা, নাটাই, কাঠের ফ্রেম, কেচিসহ নানা যন্ত্রপাতি দিয়ে একা হাতে এক একটি জামদানি তৈরি করতে রনির ৩ থেকে ৪ দিন সময় লাগে। এ কারণে বিভিন্ন জায়গা থেকে অর্ডার এলেও তা ডেলিভারি দিতে সময় লেগে যাচ্ছে।

হাইমচরের দক্ষিণ আলগী দূর্গাপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান সর্দার আব্দুল জলিল এই বিষয়ে বলেন, রনির জামদানি শাড়ির এই ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানকে অনেক বড় করতে আমার পরিষদ থেকে সহায়তা থাকবে। আমি চাই এই শিল্প প্রতিষ্ঠান এগিয়ে যাক। তাহলে অনেকের কর্মসংস্থান তৈরী হবে।

হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালমা নাজনীন তৃষা বলেন, প্রশাসনিক বিভিন্ন মেলায় এই জামদানি শাড়িকে তুলে ধরাসহ এ শিল্পটিকে ছড়িয়ে দিতে রনির এই তৎপরতাকে ঘিরে আরো ব্যাপকভাবে কর্মপরিকল্পনায় নেয়া হবে। তার যেকোন সহায়তায় উপজেলা প্রশাসন পাশে থাকবে।

ফম/এমএমএ/

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | ফোকাস মোহনা.কম