কবিতা: শিল্প

প্রতিকী ছবি।
যুবক অনার্য
একদিন সেই মেয়েটি স্নান করছিলো
পুকুরের জলে।আমি ছিলাম পুকুর থেকে অনেকটাই দূরে। নিজের অজান্তেই
চোখ চলে গেলো পুকুর বরাবর।
আমি লজ্জা পেয়ে চোখ ফিরিয়ে নিয়ে
দ্রুত সরে এসেছিলাম।সেও কি আমাকে
দেখতে পেয়েছিলো!দেখে সেও লজ্জা পেয়েছিলো! এসব আমার জানা হয় নি কোনোদিন।
জানবার কথাও এসব নয়।একদিন গ্রাম ছেড়ে মেয়েটি শহরে চলে গেলো।পড়াশুনো ক’রে
অনেক বড়ো হতে হবে।পড়াশুনা ক’রে
একদিন সেই মেয়ে সত্যিই অনেক বড়ো হলো।
এখন  সে আমাদের গ্রামের গর্ব, এমনকি
দেশেরও গর্ব – সে এতোটাই পেরেছে বড়ো হতে।তার এই এতো বড়ো হয়ে যাওয়া আমাকে
একটুও ছুঁতে পারে নি যতোটা আমাকে ছুঁয়ে আছে সেদিনের সেই এক পলকের জন্য দেখতে পাওয়া স্নান দৃশ্যটি। মানুষেরা আমার ব্যক্তিগত এমন অনুভূতিকে ভাববে নিতান্তই অবান্তর কিংবা ঈর্ষাকাতরতা।আসলে মেয়েটি বড়ো হতে হতে যদি পৃথিবীর  প্রধানতম ঈশ্বরদের একজনও হয়ে যায় তবু তার সেই ঈশ্বরত্ব আমাকে এতটুকুও
ছুঁতে পারবে না কিংবা আমি হবো না ঈর্ষাকাতর।আমাকে শুধু ছুঁয়ে আছে তার সেই আশ্চর্য
স্নান দৃশ্যটি  যে দৃশ্যটিকে আমার মনে হয়েছিলো পৃথিবীর  শ্রেষ্ঠতম একটি শিল্প।আমার কাছে শিল্পের চেয়ে শ্রেষ্ঠ  কোনো ঈশ্বরত্ব নেই!

ফোকাস মোহনা.কম