কচুয়ায় সম্পত্তিগত বিরোধের জেরে হামলা,প্রতিবন্ধীসহ আহত ৩

আহত মফিজ ও খোরশেদ আলম।

কচুয়া (চাঁদপুর): চাঁদপুরের কচুয়ায় সম্পত্তিগত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় প্রতিবন্ধীসহ অন্তত ৩জন গুরুতর আহত হয়েছে। রবিবার বিকালে উপজেলার ভূঁইয়ারা গ্রামে এ হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটে। হামলায় গুরুতর আহতরা হলো- ভূঁইয়ারা গ্রামের সুলতান বেপারীর বাড়ির মৃত. সুলতান বেপারীর স্ত্রী ফরিদা বেগম, ছেলে প্রতিবন্ধী খোরশেদ আলম (৫৫) ও মফিজ হোসেন (৬০)। স্থানীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহতের উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

গুরুতর আহত মফিজ,খোরশেদ আলম বলেন, রবিবার আমার মা ফরিদা বেগমকে কচুয়া থেকে চিকিৎসা শেষে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হই। ভূঁইয়ারা গ্রামে পৌছলে আমার বোনের জামাই সফিউল্যাহ,জুলফু মিয়া,বোন রানী বেগম,কামরুন নাহার,ভাগিনা রাব্বি ও ইসমাইল আমাদের পথ গতিরোধ করে। পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে পথ গতিরোধ করে তর্কের এক পর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এদিকে তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। বর্তমানে আহতরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান খোরশেদ আলম ও মফিজ হোসেন।
অপর দিকে আহত খোরশেদ আলমের স্ত্রী নুরজাহান বলেন, পূর্বে থেকে তারা আমাদের উপর বিভিন্ন ভাবে হামলা ও মারধর করে আসছে। ঘটনার দিন আমার স্বামী খোরশেদ আলম,ভাসুর মফিজ হোসেন ও শ^াশুড়ি চিকিৎসা শেষে কচুয়া থেকে বাড়ির কাছে পৌছলে অতর্কিত হামলা চালায়। তাদের ডাক চিৎকারে আমরা ছুটে যাই। যারা হামলা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সফিউল্যাহ,রানী বেগম বলেন, গোপনে সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করা জানতে চাইলে উল্টো খোরশেদ আলম ও মফিজ আমাদের উপর চড়াও হয়। এতে আমরা বাধা দিলে খোরশেদ আলম গংরা রানী বেগম ও কামরুন নাহারকে মারধর করে। বর্তমানে তারা কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

অপর দিকে রাব্বি বলেন, ঘটনা শুনে আমি ঘটনাস্থলে যাই এবং উভয়ের মধ্যে ঝগড়া থামাতে গেলে আমার মামা মফিজ ও খোরশেদ আলম আমাকে মারধর করে। এদিকে হামলাকারীর বিরুদ্ধে কচুয়া থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান খোরশেদ আলম ও মফিজ হোসেন।

ফম/এমএমএ/

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | ফোকাস মোহনা.কম