কচুয়ায় শিশুধর্ষণ কারী জহির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির সম্মূখীন হবে তো !

শিশু ধর্ষণকারী জহিরুল ইসলাম।

কচুয়া (চাঁদপুর): কচুয়া উপজেলার উত্তর আশ্রাফপুর ধনগাজী বাড়ির শিশুধর্ষণ কারী জহিরুল ইসলাম (৪২) দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির সম্মূখীন হবে কিনা এ প্রশ্নের ঝড় বয়ে যাচ্ছে কচুয়াবাসীর মধ্যে।

গত ১০ এপ্রিল ধনগাজী বাড়ির ৩ বছর ৪ মাস বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে একই বাড়ির জহির। বিকাল ৫টার দিকে জহিরের ঘরের পাশে গিয়ে শিশুটি খেলা করছিল। এসময় জহির শিশুটিকে দোকান থেকে খাবার কিনে দেওয়ার কথা বলে ফুঁসলিয়ে তার গোয়াল ঘরে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। শিশুটির হাউ মাউ চিৎকারে বাড়ির লোকজনরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসতে দেখে জহির তড়িঘড়ি করে স্থান ত্যাগ করেন। শিশুটি খুবই অসুস্থ হয়ে পড়ে। চাঁদপুর সদর হাসপাতালে সপ্তাহ যাবৎ চিকিৎসা গ্রহন করতে হয়েছে বিধায় কিছুদিন পর ১৭ এপ্রিল শিশুর মা ফাহিমা বাদী হয়ে কচুয়া থানায় ধর্ষণ আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ২২।
শিশুটিকে চাঁদপুরের কচুয়ার কোর্টের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালের বিজ্ঞ ম্যাজেষ্ট্রেটের নিকট হাজির করে ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। গত ২০ এপ্রিল সন্ধ্যায় চাঁদপুর শহর এলাকা থেকে কচুয়া থানার পুলিশ জহিরকে গ্রেফতার করে।

এদিকে জহিরকে ধর্ষণ মামলার শাস্তি থেকে রক্ষা করতে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী লোক ঘটনার রফা দফা করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এমনি অবস্থায় শিশুটির ধর্ষণ কারী দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির সম্মুখীন হবে কিনা জনমনে এ প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

উল্লেখ্য যে, গত দুই বছরে কচুয়া উপজেলায় বেশ ক’জন শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। কিন্তু ধর্ষণ কারীরা আইনের ফাঁক- ফোকরে ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের আশ্রয়- প্রশ্রয়ে শাস্তির সম্মূখীন হচ্ছে না। উপজেলার খিলমেহের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেনীর এক ছাত্রী খিলমেহের গ্রামের জামাল হোসেন (৫৫) কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়।
ধর্ষক জামাল হোসেন গ্রেফতার হয়ে কিছুদিন জেল হাজত খেটে (মামলা নং জিআর ৩২০) জামিনে মুক্তি পেয়ে এখন সমাজে বীর দর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে এসব ধর্ষকদের বিচার করার কেউ নেই। সুশীল সমাজের মতে শিশু ধর্ষণের এ প্রবনতা রোধে ধর্ষণ কারীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির বিকল্প নেই।
ফম/এমএমএ/

ইসমাইল হোসেন বিপ্লব | ফোকাস মোহনা.কম