
কচুয়া (চাঁদপুর): কচুয়া উপজেলার ৬২নং কাদলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র মেরামত কাজের ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
জানাযায়, প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচী (পিইডিপি-৪) এর আওতায় ২০২০-২১ইং অর্থবছরে কচুয়া উপজেলার ১৭১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৫৩ টি বিদ্যালয়ে ২ লক্ষ টাকা করে সরকারি বরাদ্ধ দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। তাদের মধ্যে উপজেলার কাদলা ইউনিয়নের কাদলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য ২লক্ষ টাকা বরাদ্দ হলে,বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো.আমজাদ বিএসসি ও প্রধান শিক্ষক মো.মফিজুল ইসলাম কোন রকম দায়সাড়া কাজ করে বীল উত্তোলন করে সরকারী টাকা নিজেরাই আত্মসাত করেছে বলে এলাকাবাসী মুখিক ভাবে জানান। নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহার করায় কয়েক দিনের মধ্যে রং ও বার্নিশ নষ্ট হয়ে দেয়ালে শ্যাওলা পড়তে শুরু করেছে।
অপরদিকে দেয়ালের নিচের অংশ খসে পড়ে জরাজিন্ন অবস্থা তৈরী হয়েছে। দেয়াল ও দরজা জানালা নতুন করে রং করার পরেও তা ভাল মতো পরিস্কার না করে রং করায় পূর্বের সব ভেষে উঠতে দেখা গেছে। এলাকাবাসী জানান, সরকারি ২লক্ষ টাকা রং বার্নিশ ও ভাঙাচুরা মেরামতের জন্য প্রদান করে। কিন্তু তারা মাত্র ৫০ হাজার টাকার মধ্যে দায়সাড়া কাজ করে বাকী টাকা সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক আতসাৎ করেছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.মফিজুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচী (পিইডিপি-৪) এর আওতায় ২০২০-২১ইং অর্থবছরে ২লক্ষ টাকা বরাদ্ধ শতভাগ বিদ্যালয়ের উন্নয়ন মূলক কাজ করেছি। বিদ্যালের বভন রং,মেরামত,ফানির্চার মেরামত,১টি দরজা,টয়লেট রং,বিদ্যালয়ের জানালা মেরামতসহ অন্যন্য কাজ করছি। কাজে কেনো অনিয়ম হয়নি।
বিদ্যালয়ের সভাপতি মো.আমজাদ বিএসসি বলেন, কাদলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২ লক্ষ টাকা সরকারি বরাদ্ধ ক্ষুদ্র মেরামত কাজ শতভাগ হয়েছে। কাজে কোনো অনিয়ম হয়নি,কাজের সকল ভাইচার গুলো আছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এএইচএম শাহরিয়া রসূল বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচী (পিইডিপি-৪) এর আওতায় ২০২০-২১ইং অর্থবছরে কচুয়া উপজেলার ১৭১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৫৪টি বিদ্যালয়ে ২ লক্ষ টাকা করে সরকারি বরাদ্ধ দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। কোনো বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র মেরামতের কাজে অনিয়ম হলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফম/এমএমএ/