কচুয়ায় ভিজিএফ কার্ডের চালের ব্যাগের অর্ধেক চাউল উধাও

চাঁদপুর: আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কচুয়া উপজেলার দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে ভিজিএফ খাদ্যশষ্য(চাল) বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন আজ সকাল দশটায় কচুয়া উপজেলার ১০ নং গোহট উত্তর ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে ভিজিএফ কার্ডের চাউল বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন, কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী। উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতি গোহট উত্তর ইউনিয়নের প্রশাসক ও উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মেজবাহ উদ্দিন বিতরণ কার্যক্রম তদারকি করেন। এ সময় দশ কেজি চাউল মাপে ঠিক আছে কি- না? উপস্থিত সাংবাদিকগণ তা মেপে দেখেন এবং তা নিশ্চিত করেন। কয়েকটি ব্যাগ পরিমাপ করে দশ কেজির স্থলে সাড়ে নয় কেজি পাওয়া যায়!

কেন আধা কেজি কম এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্যগণ বলেন, প্রতিটা ব্যাগে সাধারণত: ২৮ কেজি ২৯ কেজি চাউল পাওয়া যায়! এই ঘাটতি মেটাতে প্রতি কার্ডে ৯ কেজি দেয়া হয়।

কয়েকটি ব্যাগে ৩০ কেজির স্থলে ১৯,২২,২৬,২১,২৪,১৭,২৩,২১,১৭,১৫,১৭,২২,১৮ ও ১৫ কেজি চাউল পাওয়া যায়, ৩০ কেজির স্থলে উল্লেখিত সংখ্যক ব্যাগে কম চাউল পাওয়ায় কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কচুয়া উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আব্দুল আউয়াল জানান, আমার খাদ্য গুদাম থেকে এ ধরনের অপূর্ণ ব্যাগ সরবরাহ করার কোন সুযোগ নেই, যারা চাউল গ্রহণ করেন তারা অবশ্যই তাদের চাউলের ব্যাগগুলো পরিপূর্ণ বুঝে নিয়ে থাকেন।ভিজিএফ কার্ডের চাউল গ্রহণকারী কয়েকজনের ব্যাগের চাউল বাহিরে পূনরায় পরিমাপ করে ৯ কেজি এবং সাড়ে ৯ কেজি পাওয়া যায়! খাদ্য গুদাম থেকে বিভিন্ন ধরণের প্রকল্পের চাউল গম গ্রহনকারীদের বক্তব্য থেকে জানা যায়, খাদ্য গুদামের লেবাররা প্রত্যেক ব্যাগ থেকে বিভিন্ন কৌশলে বের করে নেন ।

খাদ্য গুদামের লেবার সরদার মো: তাজুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমাদের মাথায় বস্তাটা রাখা মাত্র বুঝতে পারি ব্যাগটিতে কত কেজি মাল আছে। আধা কেজি মাল কম হলেও আমরা বুঝতে পারি। কম হওয়ার কোন সুযোগ নাই, আর আমার লেবাররাও কোন প্রকার চুরি দারিতে অভ্যস্ত না।

উপজেলা ওসি এলএসডি খাদ্য কর্মকর্তা আব্দুল আউয়াল জানান, আমার গোডাউন থেকে চাল বের হয়ে গেলে সেটা আমার দায়িত্বে পরে না। যতক্ষন আমার গোডাউনের ভিতরে থাকবে ততক্ষণে আমি দায়বদ্ধ থাকবো।

উপজেলা কৃষি অফিসার ও ১০নং গোহট উত্তর ইউনিয়নের প্রশাসক মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, কয়েকটি বস্তায় ওজনে চাল কম পাওয়া গেছে। যার কারনে অনেকেই চাল কম পেয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হেলাল চৌধুরী বলেন, আমি চাল বিতরনে অনিয়মের খবর পেয়েছি এবং কয়েকটি বস্তায় ওজনে চাল কম পাওয়া গেছে। ঘটনাটি তদন্ত করে সত্যতা পেলে দোষিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ফম/এমএমএ/

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | ফোকাস মোহনা.কম