এ বছর ৮ লাখ টন ধান-চাল কিনবে সরকার

ধানের দাম ১ টাকা বেড়ে ২৭ টাকা কেজি, চাল ৪০ ও গম ২৮ টাকা

এ বছর আমন ধান, চাল ও গমের সরকারি সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করেছে সরকার। খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় আমন ধানের সরকারি ক্রয় মূল্য প্রতি কেজি ২৭ টাকা, চালের মূল্য প্রতি কেজি ৪০ টাকা এবং গমের মূল্য প্রতি কেজি ২৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। চলতি (২০২১-২২) অর্থ বছর উল্লিখিত মূল্যে আগামী ৭ নভেম্বর থেকে আমন ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হবে। এসময়ে ৩ লাখ মেট্রিক টন আমন ধান, ৫ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ক্রয় করা হবে।

এছাড়া আগামী ১ এপ্রিল থেকে ১.৫ লাখ মেট্রিক টন গম ক্রয়ের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। উল্লেখ্য গত বছর আমন ধান ও চালের দাম ছিল যথাক্রমে ২৬ (ছাব্বিশ) ও ৩৬ (সত্রিশ) টাকা।

রবিবার (৩১ অক্টোবর) খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার সভাপতিত্বে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির এক ভার্চুয়াল সভায় এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে কৃষিমন্ত্রী মো: আব্দুর রাজ্জাক, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, দূর্যোগ ব্যবন্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা: এনামুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

সভাপতির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, কৃষকের জন্য নায্য মূল্য নিশ্চিত করতে চায় সরকার। পাশাপাশি খাদ্যের নিরাপত্তা মজুতও বৃদ্ধি করতে চায়। বেরো ধান সংগ্রহে সফল হয়েছে সরকার। সে ধারাবাহিকতায় আমন সংগ্রহেও সফলতা অর্জন সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষি প্রকৃতি ও অঞ্চল নির্ভর। দেশে ধানের পাশাপাশি পেয়াজ, রসুনসহ আরো বেশ কিছু কৃষি পণ্য দেশে উৎপাদিত হলেও সংরক্ষণের অভাবে কৃষক নায্য মূল্য হতে বঞ্চিত হয়। দেশে কৃষি জমির পরিমান কমে যাওয়া, শিল্পকারখানা বৃদ্ধি পাওয়া এবং সর্বপরি নন হিউম্যান কনজামশন বেড়ে যাওয়ার পরও উৎপাদন বৃদ্ধির

মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জন্য লবণাক্ততা সহিষ্ণু ধানের আবাদ শুরু হয়েছে। ধানের উৎপাদন টেকসই করতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ খাদ্য পণ্যসহ আরও বেশ কিছু পণ্য বিদেশে রপ্তানি করে থাকে। মান সম্পন্ন পণ্য উৎপাদন হলে রপ্তানি সম্ভাবনা আরও বাড়বে।

সভায় অর্থ মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং দূর্যোগ ব্যবন্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সিনিয়র সচিব ও সচিবগণ এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মতামত তুলে ধরেন।

ফম/এমএমএ/

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | ফোকাস মোহনা.কম