একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি)’র অনুকূলে সর্বোচ্চ ৫টি মোবাইল সিম নিবন্ধনের সুপারিশ করেছে জাতীয় সংসদের সরকারি প্রতিষ্ঠান বিষয়ক সংসদীয় কমিটি। অবশ্য কমিটির পক্ষ থেকে নিয়মিত কর প্রদানকারী ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে সংখ্যা বাড়ানো যেতে পারে বলে মতামত দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, মো. মাহবুব উল আলম হানিফ ও মুহিবুর রহমান মানিক এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজ বলেন, বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) থেকে জানানো হয়েছে। তারা একটি এনআইডির অনুকূলে বর্তমানে ১৫টি সিম নিবন্ধনের সুযোগ দিচ্ছে। বেশি বেশি সিম নিয়ে তা অপব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। এজন্য আমরা এই সংখ্যা কমিয়ে ৫টি দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছি। অবশ্য নিয়মিত কর প্রদানকারী ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে হয়তো এই সংখ্যা আরো বাড়ানো যেতে পারে বলে মত দিয়েছি। বিটিআরসি কমিটির সঙ্গে একমত হয়েছে। তারা শিগগিরই এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানাবে বলে আমাদেরকে অবহিত করেছে।
সভাপতি ফিরোজ জানান, বৈঠকে অবৈধ ভিওআইপি বন্ধে কঠোর ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কেবল জরিমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে দরকার হলে লাইসেন্স বাতিল করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া মোবাইল অপারেটরের কাছ থেকে বকেয়া আদায়সহ গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
এদিকে বৈঠকে বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে দেশপ্রেম, কর্তব্যপরায়ণতা ও দায়বদ্ধতার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও পারস্পরিক সমন্বয়ভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনার উপর গুরুত্তারোপ করা হয়। বিটিআরসি কর্তৃক ফ্রিকোয়েন্সি (তরঙ্গ) বরাদ্দের নীতিমালা, মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবার মানোন্নয়ন এবং অপারেটরদের অনিয়মের ব্যাপারে আলোচনার পাশাপাশি অনিয়মের বিরুদ্ধে গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে কমিটিকে অবহিত করা হয়।
এ ছাড়া বৈঠকে ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী (আইএসপি) প্রতিষ্ঠানগুলোর অস্বচ্ছ কার্যক্রম এবং অবৈধ কল টার্মিনেশন ও ভিওআইপি’র অপব্যবহার রোধে বিটিআরসির গৃহীত ব্যবস্থার বিষয়েও কমিটিকে অবহিত করা হয়। আলোচনা শেষে সার্বিক স্বচ্ছতা ও পাওনা আদায়ের স্বার্থে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অডিট আপত্তিগুলো ত্রিপক্ষীয় সভার মাধ্যমে নিষ্পত্তির ব্যাপারে সুপারিশ করা হয়।
ফম/এমএমএ/