ঋণের টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ, প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যা করার অভিযোগ!

চাঁদপুর: ৮ লাখ টাকা ঋণ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ফাতেমা আক্তার সুমি নামে প্রবাসীর স্ত্রীকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিলো একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে গেল চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৮ নং ইউনিয়নের বালিচাতিয়া গ্রামের হালিম খানের বাড়িতে।

লাল কাপড় পড়ে বধু হয়ে গিয়েছিল শ্বশুরবাড়িতে কিন্তু শ্বশুর ,শাশুড়ি ও স্বামীর নির্যাতনে অবশেষে লাশ হয়ে ফিরল বাবার বাড়িতে। প্রবাসীর স্ত্রী কে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে বলে অভিযোগ করেছেন নিয়তের স্বজনরা। হৃদয়বিদারক ঘটনাটি দেখে এলাকার মানুষ হতভম্ব হয়ে গেছেন।

চার বছর পূর্বে ফরিদগঞ্জ ২ নং বালুথুবা ইউনিয়নের হতভাগা কৃষক আবু তাহেরের মেয়ে ফাতেমা আক্তার সুমির সাথে ৮ নং ইউনিয়নের বালিচাতিয়া গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে শাহাবুদ্দিনের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য স্বামী স্ত্রীকে নির্যাতন করত। স্বামী শাহাবুদ্দিন পরিকল্পিতভাবে স্ত্রীর নামে ব্র্যাক এনজিও থেকে ৮ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে একটি বাড়ি ক্রয় করে। সেই টাকা পরিশোধ না করে ওমানে পাড়ি দেয় স্বামী। ঋণের কিস্তির টাকা পরিষোদের জন্য শ্বশুরবাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ প্রয়োগ করে স্বামী শাহাবুদ্দিন। ঘটনার আগের দিন রাতেও শাশুড়ি রানী বেগম, শশুর আব্দুল খালেক ও মামাশ্বশুর আনোয়ার প্রবাসীর স্ত্রী সুমি আক্তারকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ করেন নিহতের পরিবার। মারা যাওয়ার আধা ঘন্টা পূর্বে প্রবাসীর স্ত্রী সুমি তার মেজ বোন কে এই নির্যাতনের ঘটনাটি মুঠোফোনে জানিয়েছে।

সোমবার শ্বশুরবাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে নিয়ে যায় পুলিশ অবশেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় সেই সুমিকে। প্রবাসীর স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন কিন্তু এই ঘটনাটি মানতে নারাজ নিহতের স্বজনরা।

লাশ দাফন করার পূর্বে প্রবাসীর স্ত্রীর শাশুড়িরানী বেগম ছেলে শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হয়ে স্বর্ণালংকার নিয়ে আসার জন্য হট্টগোল করে। একদিকে মেয়ের মৃত্যুতে বাবা-মা আত্মীয়স্বজন শোকাহত অন্যদিকে শাশুড়ি শ্বশুরবাড়ি থেকে কি এনেছে তা নেওয়ার জন্য বাকবিতন্ডে লিপ্ত হয়। প্রবাসের স্ত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। এই মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন এলাকাবাসী।

ফম/এমএমএ/

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | ফোকাস মোহনা.কম