
চাঁদপুর: উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে মতলব উত্তর উপজেলার ৬নং কলাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ছোবাহান সরকার শুভাকেই পুনরায় চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চান ইউনিয়নবাসি। ইউনিয়নের উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডের জন্য শুভা ছাড়া কোন বিকল্প নেই বলে মনে করছেন ইউনিয়নবাসি।
পর্যবেক্ষন করে জানা গেছে, বিগত বছর গুলোতে ওই ইউনিয়নে ব্যাপক উন্নয়ন মুলক কাজ করেছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ছোবহান সরকার শুভা। তিনি যেকোন সময় ইউনিয়নের গরীব-দুখি মানুষের পাশে রয়েছেন। বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা এবং প্রতিবন্ধী ভাতাসহ সরকারি বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা তিনি ইউনিয়নবাসিকে পাইয়ে দিয়েছেন। তার সেবা থেকে এলকার প্রকৃত কোন গরীব, দুখি, অবহেলিত মানুষ বাদ পড়েনি। এর পাশাপাশি ইউনিয়নের প্রত্যান্ত গ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন রাস্তা পাকা করন, নতুন রাস্তা নির্মান, টিউবওয়েল স্থাপন, কালভার্ট নির্মানসহ ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। তাই ইউনিয়নে তার সেই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তার বিকল্প অন্য কাউকে চেয়ারম্যান হিসেবে চাননা ইউনিয়নবাসি। মতলব উত্তর উপজেলার ৬ নং কলাকান্দা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে তার উন্নয়নের চিত্রগুলো।
ওই ইউনিয়নের মোঃ জহিরুল হক, এনামুল হক, জাফর সরকার, আহম্মদ উল্ল্যাহ, মোঃ আব্দুল কাইয়ূম, ,ভ্যান চালক শাহ জাহান, ইজি চালক নুরুল হক , কৃষক সিরাজুল, ব্যবসায়ী আব্দুর রহমানসহ আরো অনেকে বলেন, বর্তমান এই চেয়ারম্যান ছোবাহান সরকার শুভা আমাদের রাস্তাঘাট, কালভার্ট, জন্ম নিবন্ধন, চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট, বিধবা ভাতাসহ সবধরনের কাজে সাধারণ মানুষের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করেছেন। তিনি আমাদের সুখে-দুখে ইউনিয়ন বাসীর পাশে ছিলেন এবং আছেন। এইজন্য আমরা তাকেই পুনরায় চেয়ারম্যান হিসেবে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে চাই।
এদিকে ইউনিয়নটির মধ্যে রাস্তাঘাট স্কুল-কলেজ অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন চোখে পড়ার মতো। এতে ইউনিয়নবাসীর প্রায় বৃহৎ জনগোষ্ঠী বর্তমান চেয়ারম্যানের উপরই আস্থা রাখছেন।
উপজেলার কলাকান্দা ইউনিয়নটি ধান ও আলু ইত্যাদি ফসলের জন্য বিখ্যাত। এ ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষই কৃষিজীবি। তারা কৃষি কাজের উপর নির্ভর করে এবং মাঠে পরিশ্রম করে ফসল ফলায়। এই খেটে খাওয়া মানুষগুলোর আস্থা অর্জন করেছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ছোবহান সরকার শুভা। ইউনিয়নের লোক সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার, ভোটার সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। বর্তমান চেয়ারম্যান ছোবাহান সরকার শুভা দীর্ঘ ৫ বছর ধরে সফল চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি সাধারণ মানুষের মন জয় করে উপজেলায় ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন।
তিনি ২০১১ সালে থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ইউপি মেম্বার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে জনগণের সমর্থন নিয়ে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন।
চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ২০২১ সাল পর্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সহিত চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থেকে জনগণকে সাথে নিয়ে গ্রাম গুলোতে উন্নয়ন মূলক কাজ করছেন। গ্রামের ছোট ছোট রাস্তায় আরসিসি পাইপ, ইটের সোলিং, ড্রেন, কালভার্ট, গাইড ওয়াল, নলকূপ, মাটির রাস্তা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃকালীন ভাতা, ভিজিডির খাদ্য সহায়তা, সেনেটারী ল্যাট্রিন, মাদ্রাসা স্কুল কলেজ, হাট-বাজারের উন্নয়ন, করোনা কালীন সময়ে মাস্ক বিতরণ, হ্যান্ড স্যানেটাইজার এবং সচেতনা মূলক কর্মকান্ড চালিয়েছেন। যা অতিতে কোন চেয়ারম্যানদের এসব কর্মকান্ড করতে দেখা যায়নি বলে জানান ইউনিয়নবাসি। ধনী-গরীব সব শ্রেণীর মানুষই তার কাছে সমান বলে ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ জানান।
উন্নয়নের বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যান ছোবহান সরকার শুভা,র সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ২০১৬ সালে অনেক প্রত্যাশা নিয়ে জনগণ আমাকে ভোট দিয়েছেন ইউনিয়নের উন্নয়ন মূলক কাজ ও মানুষের পাশে থাকার জন্য। আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি। দেখার মালিক আল্লাহ। যে কয়েক দিন বেঁচে আছি ততো দিন যেনো জনগনের পাশে থেকে ইউনিয়নের উন্নয়ন মূলক কাজ করতে পারি। এটিই আমার আশা। ভোট জনগণের হাতে, তারা যাকে খুশি তাকে ভোট দিবে, তবে আমি ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষের পাশে থেকে উপকারের চেষ্টা করছি। তবে জনগণ আমার কথায় যাতে কষ্ট না পায় তার জন্য সর্বক্ষণিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমার ইউনিয়নে মাএ একটি পাকা রাস্তা ছিলো। আমি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সরকারি বরাদ্ধ এনে প্রায় সবগুলো রাস্তাই বর্তমানে পাকা করা হয়েছে। আগামী ইউপি নির্বাচনে জনগণের ভোটে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারলে আমার ইউনিয়নকে মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিং সহ নানা অপরাধমুলক কর্মকান্ডকে রোধ করবো। এর পাশাপাশি শিক্ষা , স্বাস্থ্য ও কৃষির উন্নয়ন ঘটিয়ে আমার ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলবো, ইনশাআল্লাহ।
ফম/এমএমএ/