চাঁদপুর: চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দঃ) উপলক্ষে বিশাল জশনে জুলুছে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুপা ধেররা ইমামে রাব্বানী দরবার শরীফ থেকে জশনে জুলুছ শুরু হয়ে হাজীগঞ্জ বাজার প্রদক্ষিণ করে পুনরায় দরবার শরীফ জামে মসজিদে এসে মিলিত হয়। মসজিদে ঈদে মিলাদুন্নবী (দঃ) এর উপর তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা শেষে বিশ্ব শান্তি কামনা করে মিলাদ-কিয়াম ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
ধেররা ইমামে রাব্বানী দরবার শরীফের মেজো শাহজাদা পীরে কামেল হযরতুল আল্লামা সৈয়দ জাহান শাহ্ মোজাদ্দেদী (রহ.)-এর বড় সাহেবজাদা সৈয়দ মাখদুম শাহ্ আল-মাদানীর নেতৃত্বে হাজীগঞ্জে বিশাল পবিত্র জশনে জুলুছে ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি আলোচনায় বলেন, যারা নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামার আগমন দিবস উদযাপনকে শিরিক-বিদআত ফতোয়া দিয়ে মুসলমানদের গোমরাহী করছে তারা কবরে, হাশরে ও মিজানে জবাব দেয়ার সুযোগ পাবে না। নিশ্চয়ই নবীদ্রোহীরা জাহান্নামের নিম্নস্তরে স্থান পাবে।
তিনি বলেন, আপনারা যারা মন্দির পাহারা দিচ্ছেন আর আল্লাহর ওলীগণের মাজার ভাংছেন, মনে রাখবেন এদেশে ইসলাম প্রচার করেছে ওলী-আউলিয়া কেরামগণ। তবে হ্যাঁ, কিছু কিছু মাঝার শিরক, বিদায়াতের মতো কাজ হয়, তা আমারা অস্বীকার করছিনা। তাদের বিষয়ে আপনারা সাবধান করতে পারেন। তবে কোন ওলী-আউলিয়ার মাজার ভাঙ্গা বরদাশত করা হবেনা। সুন্নীয়তের লোকজন তা প্রতিহত করবে।
ইমামে রাব্বানী দরবার শরীফে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহ’র সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য সচিব গাজী মোঃ আব্দুর রাহীম।
অন্যান্যের মধ্যে পীরে ত্বরিক্বত মাওলানা সামসুদ্দোহা বারী, মাওলানা শাহাদাত হোসেন জালালী, মাওলানা শাহজালাল আবেদীনসহ কয়েক হাজার নবীপ্রেমিক মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন।
মোনাজাতের পর মুসল্লিদের তবররুক বিতরণের মাধ্যমে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মেহমানদারীর সুন্নাত বাস্তবায়ন করা হয়।
ফম/এমএমএ/