
চাঁদপুর: জাতীয় সম্পদ ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে জাটকা রক্ষায় পদ্মা-মেঘনা নদী ও উপকূলীয় এলাকায় কঠোর অবস্থান নিয়েছে চাঁদপুর জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স। একই সাথে উদ্যোগ বাস্তবায়নে এগিয়ে এসেছে জনপ্রনিধিসহ স্থানীয় বিভিন্ন পেশার লোকজন। জাটকা রক্ষায় ১ মার্চ প্রথম প্রহর থেকে জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার এলাকায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বুধবার (২ মার্চ) জাটকা সংরক্ষণ অভিযানের দুই মাসের দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত হয়েছে। এর আগে ১ মার্চ সকাল ১০টায় শহরের মোলহেডে জেলা টাস্কফোর্সের যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়। সেখানে জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জনা খান মজলিশ জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষায় সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, এই দিন পদ্মা ও মেঘনা নদীতে মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, সদর ও হাইমচর উপজেলা উপজেলা টাস্কফোর্স তাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রেখেছে। নদী উপকূলীয় এলাকায় নদী সংযুক্ত খালগুলোর প্রবেশ পথ বাঁশ দিয়ে বেড়া তৈরী করে বন্ধ করে দিয়েছেন বেশ কয়েকজন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান।
নৌ পুলিশ ও টাস্কফোর্স কর্তৃক জব্দকৃত কারেন্ট ও অন্যান্য জালগুলো কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের নদী উপকূলীয় এলাকার অস্থায়ী মৎস্য আড়ৎ ভেঙে ফেলা ও আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়।
এছাড়াও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ ও মৎস্য বিভাগ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচলনা, বাজার এবং মৎস্য আড়ৎ পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য, ইলিশের পোনা জাটকা রক্ষায় ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার এলাকা অভয়াশ্রম ঘোষণা করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এ সময় ইলিশসহ সব ধরণের মাছ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মওজুদ ও পরিবহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড অথবা ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা এবং উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।
ফম/এমএমএ/