ইলিশ উৎসবে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা

চাঁদপুর: সেরা গানবাজদের সংগীত প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি, ইলিশ নিয়ে সংসদীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা, গোল টেবিল বৈঠক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনদের মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং গোল টেবিল আলোচনার মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে সিনেবাজ ও পুষ্টির যৌথ সৌজন্যে চতুরঙ্গ আয়োজিত ৫ দিনব্যাপী ১৩তম ইলিশ উৎসবের ৩য় দিন।
সোমবার (৪ অক্টোবর) চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।
উৎসবের শুরুতে চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন সেরা গানবাজদের নিয়ে ১ম রাউন্ডের সংগীত প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়। সাংবাদিক এম আর ইসলাম বাবু’র সঞ্চালনায় প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন, চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠনের মহাসচিব হারুন আল রশিদ, সংগীত শিল্পী অনিতা কর্মকার।
এরপরেই সন্ধ্যায় ইলিশ নিয়ে আবৃত্তি উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদের ছোট ছোট শিল্পীরা। বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদের আবৃত্তি পরিবেশনের পরেই শুরু হয় ইলিশ নিয়ে সংসদীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা। সংসদের সরকারি দলের পক্ষে মুশফিকা  ইসলাম প্রধানমন্ত্রী, মো. সালাউদ্দিন খান মন্ত্রী এবং মিঠুন চন্দ্র ত্রিপুরা সাংসদের ভূমিকা পালন করেন। অপরতিকে বিরোধী দলে মো. আব্দুল বাসেত বিরোধী দলীয় নেতা, তানচিন রুবেল উপনেতা ও মো. শাহপরান সাংসদের ভূমিকা পালন করেন। সাংসদে ডা. পিযুস কান্তি বড়ুয়া স্পীকার, ভিভিয়ান ঘোষ পর্যবেক্ষক, ও মো. জায়েদুর রহমান সময় নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করেন।
একইদিনে একই স্থানে রাতে আকর্ষণীয় গোল টেবিলের আরোচনা পর্ব সম্পন্ন হয়।
আলোচনা পর্বে মূখ্য আলোচকের বক্তব্য রাখেন,  চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমরা যদি সবাই মিলে এ ইলিশ সম্পদ রক্ষায় কাজ করি, তাহলে আমরা সফল হবো। এই ২২দিন আমরা ইলিশ ধরবো না এবং জাটকা খাবো না, এই জিনিসটি আমাদের মনে রাখতে হবে এবং বুকে ধারন করতে হবে। যার যার অবস্থান থেকে আমরা  সবাই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করি।
উৎসবের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মহসিন পাঠানের সভাপতিত্বে এবং চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠনের মহাসচিব, ইলিশ উৎসবের রূপকার হারুন আল রশিদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন,  অনুষ্ঠানের সংবর্ধিত অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব আলী মাষ্টার, গ্যালাক্সী রিসোর্টের কর্ণধার রোটা. মনিরুল ইসলাম মনির, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তপন সরকার, বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদের সভানেত্রী মুক্তা পিযুষ, উদয়ন সংগীত বিদ্যালয়ের কর্মকর্তা বিশ্বনাথ।
বক্তারা উৎসবটি জাতীয়করণ করার দাবী জানিয়ে বলেন,  উৎসবের কারনে জেলেরা সচেতন হচ্ছে। চাঁদপুরকে যেমন ভালোবাসি ইলিশকেও ভালোবাসি। ইলিশ উৎসব শুধু চাঁদপুরেই নয় সারাদেশের উৎসবে রূপান্তরিত হবে। এই উৎসব থেকে আমরা প্রতিজ্ঞা করি যেন আমরা ডিম ইলিশ না খাই। এই সম্পদকে রক্ষা করে আমরা আমদের দেশের উন্নয়নের অংশীদার হবো।
গোল টেবিল আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ, উদয়ন সংগীত বিদ্যালয়, অগ্নিবীনা সাংস্কৃতিক সংগঠন ও চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠনের পরিবেশনায় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উৎসবের ৩য় দিনের পর্দা নামে।
ফম/এমএমএ/

শাহরিয়া পলাশ | ফোকাস মোহনা.কম