
চাঁদপুর: সাপ্তাহিক ছুটির দিনে চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাটে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। একদিকে চাহিদা তুলনায় ইলিশের সরবরাহ কম। অন্যদিকে দাম চাহিদা অনুযায়ী দাম না কমায় বেচাবিক্রি পুরোদমে জমে উঠছেনা। সেখানে আগে প্রতিদিন গড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ মণ ইলিশ বেচাকেনা হতো। বর্তমানে তা ৫০ থেকে ১০০ মণে এসে দাঁড়িয়েছে।
শুক্রবার (২৭ জুন) সকাল থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ক্রেতারা মাছঘাটে ঘুরতে আসেন। কেউ ২টি ইলিশ, আবার কেউ কেউ ৫-৭ টি ইলিশ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া কিছু ক্রেতা দাম শুনে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন।
ঢাকা থেকে চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাটে আসা পারভেজ বলেন, আমরা ৪ বন্ধু ঢাকা থেকে লঞ্চযোগে চাঁদপুর বড়স্টেশন তিন নদীর মোহনায় ঘুরতে এসেছি। মোহনার পাশেই ইলিশ ঘাট। যার কারণে মাছ দেখদে এসেছি। তবে এখানে এসে ভিন্ন অভিজ্ঞতা। ইলিশের স্তুপ নেই, আবার দামও বেশি। পুরো আড়ত ঘুরে দেখছি, সম্ভব হলে ইলিশ কিনে নিয়ে যাবো।
ইলিশ ব্যবসায়ী নবীর হোসেন জানান, ইলিশের মৌসুম চলছে কিন্তু চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা নদীতে জেলেদের জালে ইলিশ কম ধরা পড়ছে। সারাদেশে চাঁদপুরের ইলিশের ব্যাপক চাহিদার অনুপাতে বাজারে মাছটির আমদানি কম। আগে ট্রলারে করে দক্ষিণাঞ্চলের ইলিশ চাঁদপুর মাঝঘাটে আসতো কিন্তু পদ্মা সেতু হওয়ার পর সেই মাছ এখন আর আসে না। সামনে ইলিশের ভরা মৌসুম, নদীর পানি ও বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে ইলিশ ধরা পড়বে, তখন দাম কমবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
আড়তের আরেক ব্যবসায়ী কামাল হোসেন বলেন, মাছঘাটে আসা এখনকার ইলিশের সাইজ বড়। এখনকার ইলিশ স্থানীয় নদীর। শুক্রবার থাকায় ক্রেতা সমাগম বেড়লেও বিক্রি কম। অধিকাংশ ক্রেতারা দরদাম যাচাই করে না কিনে চলে যায়। যার কারণে কিছু ইলিশ সরবরাহ থাকলে আগেরমতো বিক্রি নেই।
তিনি আরও জানান, আজকের বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজা ৩০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকায়। আর ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা। এছাড়া এককেজি ওজনের বড় ইলিশ ২ হাজার ৮০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে।
ফম/এমএমএ/