আ.লীগ সরকারের উন্নয়ন প্রচারণায় মনোনয়ন প্রত্যাশী বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস

চাঁদপুর-২ আসনে

মতলব উত্তর (চাঁদপুর): আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে চাঁদপুর-২ আসনে নিজেদেরকে জানান দিচ্ছেন দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন ধরনের প্রচার প্রচারণা লক্ষ্য করা যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। প্রচারের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে পরিচিত হচ্ছেন নেতারা।

এরই মধ্যে ব্যতিক্রমধর্মী প্রচারণা করছেন মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস। আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে দুই উপজেলায় বিলবোর্ড সেটে দিয়েছেন তিনি। আর আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার জন্য ভোট চাইছেন জনগণের কাছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রায় ৮৪ টি বাস্তবায়িত প্রকল্প তুলে ধরে প্রচারণা চালিয়ে চাঁদপুর-২ আসনে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। এমন ভিন্নধর্মী প্রচারণা আর কোন নৌকা প্রতীক মনোনয়ন প্রত্যাশীকে করতে দেখা যায়নি।

এদিকে ২৪ মে বুধবার বিকালে মতলব উত্তর উপজেলার সুজাতপুর বাজারের ফুটপাত, চা দোকান, মুদি মনোহরী দোকান, মাছ বাজার, কাচাঁবাজার, বিভিন্ন রাস্তার পয়েন্টে, পথচারী অটোরিক্সা চালক ও যাত্রীদের মাঝে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন তথ্য তুলে বানানো লিফলেট প্রচার করেন এমএ কুদ্দুস। লিফলেটে দেখা যায় সরকারের প্রায় ৮৪ টি উন্নয়ন প্রকল্প জনগণের সামনে তুলে ধরেছেন তিনি। এসমসয় উপস্থিত ছিলেন, মতলব উত্তর উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শহীদ উল্লাহ প্রধান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাহজাহান প্রধান, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক নুরুল আমিন বোরহান, দুর্গাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা নুরুজ্জামান সরকার দুলাল, সুলতানাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আবু বাশার খোকন, ফতেপুর পুর্ব ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী সালাউদ্দিন, ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা খাজা আহমেদ, সুজাতপুর ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি মাইনুদ্দিন সরকার, সাধারণ সম্পাদক এসএম জামাল, ইসলামাবাদ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান, যুবলীগ নেতা জসিম উদ্দিন, খোরশেদ আলম সরকার, ফতেপুর পুর্ব ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মাহবুব বেপারী, সুলতানাবাদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল ইসলাম, ছেংগারচর পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান খান, ছাত্রলীগ নেতা কামরুল হাসান, জনি সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।

এ ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন প্রচারণা করতে দেখা গেছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস তার নিজের ফেসবুক আইডি এবং তার কর্মী সমর্থকরাও সরকারের উন্নয়ন প্রচারণা করছেন আগামী নির্বাচনে নৌকার বিজয়ের লক্ষ্যে।

এমএ কুদ্দুস এর কর্মী সমর্থক মিজানুর রহমান, মাজহারুল ইসলাম জসিম উদ্দিন বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস একজন তৃণমূলের জনপ্রিয় নেতা। তিনি বিগত ৫০ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করছেন। তৃণমূল কর্মীদের খোঁজ খবর নেন, সুখে দুঃখে পাশে থাকেন। তাই আগামী নির্বাচনে তাকে এমপি হিসেবে পেতে চাই।

বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস অবিভক্ত মতলব উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তীতে মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করেন। বর্তমানে তিনি মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি সমাজসেবা মূলক কর্মকান্ডেও বেশ জনপ্রিয় মুখ। গেল ঈদে যানযট নিরসনে সড়কে নেমে কাজ করেছেন, দুস্থ ও অসহায়দের মাঝে ঈদ সামগ্রী পৌছে দিয়েছেন, ঈদের দিনেও হাসপাতালে গিয়ে রোগীদের খোঁজ খবর নিয়েছেন এবং ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্র করে সচেতনমূলক প্রচারণা করেছেন তিনি।

লিফলেট বিতরণ শেষে এক ব্রিফিংয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস বলেন, বর্তমান সরকারের যে উন্নয়ন করছে এই উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে আবারো ক্ষমতায় আনতে জনগণের সামনে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নগুলো তুলে ধরার চেস্টা করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে যে উন্নয়ন করছেন তা অনেকেই জানেন না, জনগণকে এসব উন্নয়নের ব্যাপারে জানাতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এই ধারায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে।

তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকেই নৌকা প্রতীক দিবেন। নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে আমি আওয়ামী লীগ সরকারের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। আমি নিজেও একজন দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। আমি সকলের কাছে দোয়া চাই।

ফম/এমএমএ/আরাফাত/

আরাফাত আল-আমিন | ফোকাস মোহনা.কম