চাঁদপুর : কোটা সংস্কার আন্দোলনে বাধা দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের পদত্যাগের দাবির মুখে থাকা চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নাছিম আখতার পদত্যাগ করবেন না বলে জানিয়েছেন।
শনিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে সংবাদমাধ্যমকে এ কথা জানান তিনি।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তিনি পদত্যাগ করবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা আন্দোলন করছেন তারা যৌক্তিক মনে করছেন বলে পদত্যাগের দাবি তুলেছেন। তবে আমার মনে হয় না পদত্যাগের মতো কিছু ঘটেছে। আমাকে সরকার নিয়োগ দিয়েছে।
তিনি বলেন, আমি নিজ থেকে পদত্যাগ করব না। আমি মনে করি আমার পদত্যাগ করার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। সরকার আমাকে নিয়োগ দিয়েছে, নতুন সরকার যদি মনে করে এই ভিসিকে রাখব না তখন আমি সঙ্গে সঙ্গে পদত্যাগ করব।
পদত্যাগ দাবিকারীদের সম্পর্কে তিনি বলেন, যারা পদত্যাগের দাবি করছেন তারা সেটাকে যৌক্তিক বলে মনে করছেন বলেই সেটা করছেন। ক্যাম্পাসে কবে যোগ দিব সে বিষয়ে বলতে পারছি না।
এর আগে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর উপাচার্য নাছিম আখতারের পদত্যাগ দাবি করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গত দুদিন ধরে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করা একটি বিবৃতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নাসিম আখতার শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা এবং নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এছাড়াও আন্দোলন চলাকালে তিনি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে উদাসীন হওয়ায় আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা তার পদত্যাগ চাই।
শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় তিনি বাধা দিয়েছিলেন এবং ছাত্রলীগ নেতাদের সাথে নিয়ে শিক্ষার্থীদের হুমকি ধমকি দেন।
এদিকে আজ শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে চাঁদপুরের বাসিন্দা ‘এমএইচএইচ কাদের’ নামে যুবক তার ব্যাক্তিগত ফেসবুকে লিখেছেন ‘এই নতুন বিশ্ববিদ্যালটির ৪র্থ গ্রেড থেকে ২০ তম গ্রেড পর্যন্ত বিভিন্ন ধাপে ৮০+ জন নিয়োগ দিয়েছে। একবারও কি কারো জানতে ইচ্ছে করছে ভিসি কাদেরকে নিয়োগ দিয়েছে এবং তারা কোন অঞ্চলে লোক। ভিসি যাদেরকে নিয়োগ দিয়েছেন এর ৯৫% লোক ভিসির এলাকায় এবং তার পূর্ব পরিচিত।
অনেকেই হয়তো ভাবছেন আমি এতো কিছু কিভাবে জানি। আমি যেহেতু একটা প্রশাসনিক পোস্টে রিটেন ও ভাইবা দিয়েছি। আমি আরো অনেক কিছুই জানি এবং আমাকে জানতে হয়েছে। সে ভালো মানুষের মুখোশ পরে আছে। আমার সাথে এবং অনেকের সাথে ঘটে যাওয়া সেই অমানবিক ঘটনার বিস্তারিত আমি রাতেই পোস্ট করবো। আগে অনেকবার লিখতে গিয়েও লিখতে পারিনি।’
ফম/এমএমএ/