আমিরাবাদ বাজারে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের সরকারি অনুদান দেয়া হবে : এমপি রুহুল

ছবি: ফোকাস মোহনা.কম।

মতলব উত্তর (চাঁদপুর): গত ১৮ ডিসেম্বর দুপুরে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার আমিরাবাদ বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১১ টি ছোট বড় দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের সরকারি ভাবে অনুদান দেওয়া হবে বলে জানান চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব অ্যাড. নুরুল আমিন রুহুল।

শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ দোকান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসারও জানান ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদেরকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হবে।

এমপি অ্যাড. নুরুল আমিন রুহুল বলেন, নিজেদের জান মালের নিরাপত্তা নিজেরকেই নিতে হবে। সরকার শুধু আমাদেরকে সাপোর্ট দিবেন। তাই দোকান পাট ও ঘর বাড়ি আগুন থেকে নিরাপদে রাখতে সাবধানতার বিকল্প নেই। সবাই যার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার সময় সবকিছু চেক করে সর্তকতার সাথে বন্ধ করবেন। এবং দোকানের নির্মাণ কাজ করার সময় উন্নত মানের ফায়ার প্রুফ ক্যাবলস দিয়ে ওয়্যারিং করবেন। যাতে করে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন না লাগে। তিনি আরও বলেন, আমিরাবাদ বাজারে যে অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটেছে তা সত্যিই দুঃখজনক একটি ঘটনা। এ ঘটনায় আমি মর্মাহত। অগ্নিকান্ডের কারণে কতগুলো পরিবার আজ নিঃস্ব হয়ে গেছে। আমি কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে সরকারি ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের অনুদানের চেষ্টা করবো। আমি নিজেও আমার তহবিল থেকে অনুদান দিব। এছাড়া যাদের সামর্থ আছে তারাও ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়াবেন। তিনি বলেন, আর অল্প কিছু দিনের মধ্যেই নবনির্মিত মতলব উত্তর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন উদ্বোধন করা হবে। তাহলে কোথাও আগুন লাগলে দ্রুত নিভানো সম্ভব হবে।

এসময় ইউএনও গাজী শরীফুল হাসান বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের তালিকা জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠিয়েছি। আশা করি দ্রুত তাদেরকে সহায়তা প্রদান করতে পারবো। তিনি সবাইকে এ ধরনের দুর্ঘটনা থেকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। পরিদর্শনের সময় ফরাজীকান্দি ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ইঞ্জি. রেজাউল করিম, মতলব উত্তর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুর রব সহ দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলো হল- আল-আমিনের হার্ডওয়ারী দোকান, আলী হোসেন লেপ-তোশকের দোকান, সারোয়ার আলম কাঠের দোকান, হানিফ ঢালী ওয়াকসপ, মনির হোসেনের পাটের দোকান, মিল্টন গাজীর সার ও কীটনাশক দোকান, মোজাম্মেল মুন্সী হোটেল ও বসতঘর, মোকলেছুর রহমানের মুদি দোকান, শাহিন মোল্লার কাঠের দোকান, অজিদের কামার দোকান ও আসলাম মিয়ার পাট ও মরিচের দোকান। ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক মূল্য এক কোটি টাকা হবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

ফম/এমএমএ/

আরাফাত আল-আমিন | ফোকাস মোহনা.কম