প্রবাসী মাছুমের আত্মহনন: ঋণের টাকা পরিশোধে দুইপক্ষের মিমাংশা

মতলব উত্তর (চাঁদপুর): সম্প্রতি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার গজরা ইউনিয়নের পশ্চিম রায়েরদিয়া গ্রামের সিংগাপুর প্রবাসী মোঃ মাছুম তার শ্বশুর বাড়িতে বিষপান করে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় মাছুমের পিতা নবী হোসেন মামলা করার প্রস্তুতি নিলেও পরবর্তীতে তা দুই পরিবারের সমঝোতার মাধ্যমে মিমাংশা হয়। মাছুমের প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা ঋণ ছিল বলে দাবী করে তার পরিবার। ওই টাকা পরিশোধের মাধ্যমেই দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে।

কিন্তু এই বিষয়টি বিভিন্ন মিডিয়ায় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কয়েকদিন ধরে অপপ্রচার করছে বলে দাবী করেন মাছুমের পিতা-মাতা ও তার শ্বশুড়-শ্বাশুড়ি। ওই সংবাদে বলা হয়, ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে মিমাংশা হয়েছে, সাড়ে তিন লাখ টাকা মাছুমের পরিবার পেয়েছে, বাকী দেড় লাখ টাকা শালিশীগণের উপর আত্মসাতের নামে চাপিয়ে দেওয়া হয়। এমনকি গজরা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার বিল্লাল হোসেন ও গজরা ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সভাপতি সুভাস ভৌমিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। তারা দাবী করেছেন মাছুম ও তার শ্বশুড়ের পরিবার নিজেরাই সমঝোতায় গিয়ে মিমাংশা করেছে। তারা শুধু মাত্র উপস্থিত ছিলেন। এবং মাছুমের ঋণ বাবদ সাড়ে তিন লাখ টাকার বেশি কোন টাকা লেনদেন হয়নি।

মাছুমের পিতা নবী হোসেন সাংবাদিকদের জানান, আমার ছেলের নামে লোন ছিল। ওই লোনের কিস্তি পরিশোধের জন্য তার শ্বশুড় ইয়াছিন সাড়ে তিন লাখ টাকা দিয়ে দিয়েছে, তাই আমি মামলায় যাইনি। এর বাইরে আর কোন লেনদেন হয় নাই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মামলা করলে তো আর ছেলে ফেরত পাবো না।

মাছুমের শ্বশুড় ইয়াছিন বলেন, আমার মেয়ে ইয়াসমিনের সাথে মাছুমের প্রেম সংগঠিত ব্যাপারে বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর তারা বেশ সুখেই ছিল। হঠাৎ করে তাদের মধ্যে কি হয়েছে জানি না। সে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে। পরে আমরা জানতে পাই তার সাড়ে তিন লাখ টাকা ঋণ আছে। ওই ঋণ পরিশোধের জন্য মাছুমের বাবা নবী হোসেনকে আমি সাড়ে তিন লাখ টাকা দিয়েছি। এর বাইরে কোন টাকা দেই নি।

এদিকে গজরা ইউপির ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার বিল্লাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, যেকোন ঘটনা ঘটলে আমরা যারা জনপ্রতিনিধি তাদেরকে যেতে হয়। কিন্তু এটি একটি আত্মহত্যার ঘটনা এবং খুবই স্পর্সকাতর। এখানে পক্ষ বিপক্ষ কোন কিছুই করার নেই আমাদের। তারা দুই পরিবার কথা বলে সমঝোতা করেছে এবং তাদের হাতেই টাকা লেনদেন করেছে। আমরা গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ শুধু উপস্থিত ছিলাম। কিন্তু আমাদেরকে জড়িয়ে যে সংবাদটি প্রকাশ হয়েছে এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাদেরকে হেও পতিপন্ন করার জন্য মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করেছে একটি মহল। আমি এর প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানাই।

ফম/এমএমএ/

আরাফাত আল-আমিন | ফোকাস মোহনা.কম