হাতে সময় খুব কম। সাফ চ্যাম্পিয়ন কড়া নাড়ছে দরোজায়। কিন্তু এ অল্প সময়েও ভালো ফলের আশায় ঘাম ঝরাচ্ছেন জাতীয় দলে ডাক পাওয়া ফুটবলাররা।
জাতীয় দলের কোচিং স্টাফ নতুন। বদলে গেছে রণনীতি। ডিফেন্সিভ ফুটবল থেকে বেরিয়ে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলার দীক্ষা নিচ্ছেন জামাল ভূঁইয়ারা। অল্প সময়ে এটা কঠিন হলেও সবাই মিলে তা সম্ভব করার চেষ্টা করছেন।
শুক্রবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলনের সময় গোলরক্ষক কোচ নুরুজ্জামান নয়ন বলেন, ‘আমরা মাত্র ছয়টা সেশন পাচ্ছি অনুশীলনের জন্য। সময় খুব কম। তবে আমার সুবিধা হলো তিনজন গোলরক্ষকের সঙ্গেই এর আগে জাতীয় দলে কাজ করেছি। তাছাড়া ওরা ভালোমানের কোচদের সঙ্গে সর্বোচ্চ পর্যায়েই অনুশীলন করছিল। সুতরাং খুব একটা সমস্যা হচ্ছে না। আমাদের এখন মেইন ফোকাস হচ্ছে কমিউনিকেশন স্কিল নিয়ে। মানে বল পায়ে থাকলে কীভাবে খেলবে।
বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো বলেন, অস্কার ব্রুজোন দীর্ঘদিন ধরেই দক্ষিণ এশিয়ায় কাজ করছেন। এ অঞ্চলের ফুটবল সম্পর্কে ভালো ধারণা আছে। প্রতিপক্ষদের কথা চিন্তায় রেখেই আমরা প্রস্তুত হচ্ছি। সময় যেহেতু কম তাই আমরা ম্যাচ-বাই-ম্যাচ চিন্তা করছি। প্রতি ম্যাচেই জয়ের আশায় নামব।
তিনি আরও বলেন, অস্কার ব্রুজোন কিছুটা অ্যাটাকিং ফুটবল পছন্দ করেন। তার প্ল্যান শুরু হয় গোলরক্ষক থেকে। সুতরাং গোলরক্ষকদের সব সময়ই সচেতন থাকতে হবে।
অস্কার ব্রুজোনের কাঁধে দায়িত্ব নিয়ে বেশ আশাবাদী বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। তিনি গতকাল অনুশীলন দেখে মিডিয়াকে বলেছেন, অস্কার ব্রুজোনই আমাদের কাছে সেরা বিকল্প ছিল। কৌশল নিয়ে আমরা দীর্ঘ সময় আলোচনা করেছি। আমি দারুণ আশাবাদী।
দীর্ঘদিন পর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। দিন কয়েক পরই মালদ্বীপে অনুষ্ঠিত হবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ।
ফম/এমএমএ/