চাঁদপুর: আশি^নের ভরা পূর্ণিমা ও আমাবস্যায় প্রচুর ডিম ছাড়ে মা ইলিশ। সে গণনার উপর ভিত্তি করে এ বছর ১২ অক্টোবর থেকে শুরু করে ২ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের ৫টি নদী এলাকায় অভয়াশ্রম ঘোষণা করা করে সরকার। এই সময়ে এ বছর ৫২.৫ শতাংশ ইলিশ ডিম ছেড়েছে।
চাঁদপুরের নদীতে অধিকাংশ ইলিশ ডিম ছেড়েছে বলে দাবী করেছেন জেলেরা। জেলেরা ফোকাস মোহনাকে বলেন, এবছর ইলিশ প্রচুর ডিম ছেড়েছে। এসব ডিম ছাড়ার পরে ছোট সাইজের ইলিশ সাগরে থাকলে আমাদের নদীতেও আসবে। আশা করছি আমাদের এই নদীতেও বড় হলে আমরা ইলিশ পাব।
এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, মা ইলিশ ও জাটকা রক্ষা করা গেলে ইলিশ আরো বৃদ্ধি পাবে। তারা বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময় জেলার বাহির থেকে যেসব জেরে নৌকা এসে মাছ ধরে তাদেরকে প্রতিরোধ করতে হবে। এদেরকে ঠেকাতে পারলে ইলিশের ডিম ছাড়ার এই প্রক্রিয়া সফল হবে।
কয়েকজন ব্যবসায়ী ফোকাস মোহনাকে বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময় প্রশাসনকে জাটকা রক্ষায় আরো কঠোর হতে হবে। কারণ নদীতে ড্রেজার ও চায়া রিং জাল ইলিশের ডিম নষ্ট করে। এসব বিষয়গুলোর ওপর জোর দিতে হবে। কারণ চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর মিঠাপানিতে নিরাপদে ডিম ছাড়ার জন্য ইলিশ আসে।
ডিমের দশভাগও রক্ষা করা গেলে আগামী মৌসুমে ৪০ হাজার কোটি জাটকা জন্ম নিবে বলে দাবী করেছেন ইলিশ গবেষক ড. আনিছুর রহমান।
তিনি ফোকাস মোহনাকে বলেন, আগামী ১ মার্চ থেকে ২ মার্চ দুই মাস যে নিষেধাজ্ঞা থাকবে জাটকা রক্ষায়। এ সময় জাটকা ধরায় নিষেধাজ্ঞা এবং অভয়াশ্রম বাস্তবায়ন হয়। এই কর্মসূচি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে আশা করা যায় ৪০-৪২ হাজার কোটি জাটকা ইলিশ জনতায় যুক্ত হলে দেশের ইলিশ উৎপাদন প্রায় পৌনে ৬লাখ মেট্টিক টনে পৌঁছবে।
ফম/এমএমএ/