
জানা যায়, ১৯৬০ সালে চাঁদপুরকে নদী বন্দর ঘোষণা করে বিআইডব্লিউটিএকে একশো ত্রিশ একর জমি দেয়া হয়। অবৈধ দখলের কবলে এখন তার কতটুকু অবশিষ্ট রয়েছে তা বলতে পারছে না কর্তৃপক্ষও। ২০০৪ সাল থেকে নবায়ন করা হচ্ছে না জমির ফি। এতে কোটি কোটি রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
চৌধুরীঘাট এলাকার বাসিন্দা আকবরসহ কয়েকজন জানান, চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে আগে ইচলী পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল করতো। এখন আর লঞ্চ চলাচল করে না। তবে নদীর দুই পাশ নামে বেনামে দখল করা হচ্ছে। প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএর কিছু কর্মকর্তার যোগসাজসে দখলগুলো করা হচ্ছে। দখল বন্ধ না হলে একসময় ডাকাতিয়া নদী শুধু কাগজে কলমেই থেকে যাবে বলে তারা জানান।
চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা মোঃ শাহাদাত হোসেন জানান, ডাকাতিয়া নদীটি রক্ষায় চাঁদপুর বড় স্টেশন থেকে শাহরাস্তি পর্যন্ত অবৈধ দখলদারদের একটি তালিকা করা হচ্ছে। অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করতে তালিকাটি সম্পন্ন হলে মন্ত্রনালয় ও জেলা প্রশাসককে দেয়া হবে। পরে সমন্বয়ের মাধ্যমে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে। আর যারা বিআইডব্লিটিএর স্থানে ব্যবসা করবেন, তারা সরকারকে রাজস্ব দিয়েই ব্যবসা করতে হবে।