—-যুবক অনার্য
কিছু মেঘ বৃষ্টিশিলা কতিপয় পুরনো আকাশ
মানেই নিসর্গের উপমা হবে- এমন কিন্তু নয়।
বিমানে উড়ে চলা যেসকল বিলাসী লোক
পকেটভর্তি কালো টাকা – ছুটে চলে বিদেশ বিভুঁই
কই, তারা তো নয় নীলিমা প্রেমিক
কাঙ্ক্ষিত কালের যোগ্য পুরোহিত!
এমনও হয় – দেখি – মোটিভেশনাল অনুবাদক
নিজেই নিস্ক্রিয় খুব – বিষন্ন -কোনো গানে!
যারা – ধরো -এই নিরামিষাশী কথা ব’লে
মানুষের নমস্য কুড়ায়
গভীর কোনো পবিত্র রাত্তিরে
নিষিদ্ধ পল্লীঘর
ঘুরে এসে ঘুমিয়ে পড়ে নিশ্চুপ
নিজস্ব বধুদের পাশে-
এমন হতেই তো পারে – হয়তো বা
আমাদের খুব চেনা সেসব আমিষী সন্ন্যাসী –
মুখোশি সেই কলরব।
তবে কি কোথাও নতুবা সবখানে ঘটেই চলেছে
একটা কিছু মারাত্নক – সংগোপনে
লুকোনো লুটেরার মতো ঘাপ্টি মেরে
জেগে আছে পাড়া জুড়ে দিনরাতভর!
যদি নাই বা হলো তবে আজ আমি কেনো
ঘুরে ফিরি সড়কে নরকে আর সারা রাত
রাতের অন্ধকারে
পকেটশূন্য পাজামাটা প’রে!
আমার জন্ম জড়ুলের কাছে কোথাও অসুখ নেই
বিরহী বৃক্ষের মতো চিরদিন একা একা – এরকম নিসঙ্গতা;
তবু মৃত্যুকেই বহুবার জন্ম – উৎসব ভেবে
আমি নিজের ভিতরে খুঁজে পাই নি এমন
এ জন্মের অর্থবহতা
পাইনি নিজের কাছেই কতিপয় পঙ্কিল বাসনা বিকোবার অনিদ্র দহন।
তবু তো এই আমি অচল মুদ্রার মতো
এখনও রাত জেগে দেখে যাই – তারারা
গুনছে আমাকেই কতো শতো বার
তবু আমি মৃত্যু ভালোবাসতে গিয়ে
তোমাকেই বেসে ফেলি ভালো
কেনো বার বার!