অনন্যা নাট্যগোষ্ঠীর পরিবেশনায় নাটক রাক্ষুসী মঞ্চায়িত

ছবি: শাহরিয়া পলাশ, ফোকাস মোহনা.কম।

চাঁদপুর: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এঁর জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে কাজী নজরুল ইসলামের ছোট গল্প অবলম্বনে নাটক রাক্ষুসী মঞ্চায়িত হয়েছে। দুই দিনব্যাপী নাটকের প্রথম দিন অতিবাহিত হয়।

শুক্রবার (৩ জুন) সন্ধ্যায় চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে অনন্যা নাট্যগোষ্ঠীর পরিবেশনায় এ নাটকের আয়োজন করা হয়।

নাটক মঞ্চায়নের পূর্বে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান উর্ত্তীন হওয়ায় সাফানা নামরিন মেধা,  কাজী কাবিসা ও সম্পাকে অনন্যা নাট্যগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।

আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দরা হলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তপনা সরকার, টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আল ইমরান শোভন, স্বরলিপি নাট্যগোষ্ঠীর সভাপতি এম আর ইসলাম বাবু প্রমূখ।
সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে সঞ্চালনায় ছিলেন অনন্যা নাট্যগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক মৃনাল সরকার।

নাটকের নাট্যরূপে ছিলেন মমতাজ উদ্দিন আহমদ ও নির্দেশনায় শহিদ পাটোয়ারী।

নেপথ্যে যারা ছিলেন তারা হচ্ছেন, মঞ্চ ও আরো পরিকল্পনায় হারুন আল রশিদ, আলো নিয়ন্ত্রণে বিশ্বনাথ চৌধুরী, ধ্বনি সংযোজন ও নিয়ন্ত্রণে কার্তিক সরকার, রূপসজ্জ্বায় কেশব সুর, পোশাক পরিকল্পনায় রুনা আক্তার আশা, সীমা আক্তার, দীপক ভট্টাচার্য, এম এ কুদ্দুস রোকন, সামগ্রী ব্যবস্থাপনায় মানিক দাস ও কামরুল ইসলাম, মঞ্চ ব্যবস্থাপনায় মোবারক হোসেন সিকদার, প্রযোজনা উপদেষ্টা মো. হানিফ ও প্রযোজনা অধিকর্তা মৃনাল সরকার।

নাটক রাক্ষুসী এর সারমর্মে জানা যায়, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ছোটগল্প রাক্ষুসীর বিষয় নিয়ে রাক্ষুসী নাটক রচনা করা হয়েছে। মূল গল্পের বিষয়ের সীমানার চারতিক সস্প্রসারন করে নাটকের রাক্ষুসীর জগৎ ও জীবন বড় করা হয়েছে।

বিন্দি সামান্য এক রমনী। সরল সুখেররস্বপ্নে বিন্দি বিভোর। বেঁচে থাকার স্বপ্ন। কারো কাছে হাত পেতে নয়, কঠোর পরিশ্রমের বিনিময়ে বেঁচে থাকার স্বপ্ন।তার উদাসীন স্বামী আর তিনটি সন্তান। নির্বিবাদে অবারিত আলো-বাতাসের মধ্যে বেঁচে থাকবে-তারই স্বপ্ন ছিলো বিন্দির৷

বিন্দি বড় হিসেবী,  বেশি রকম হিসেবী। একটি অনাবশ্যক খরচ করতে তার বুকে বাজে। কিন্তু তার ঢিলঢালা স্বামী, মদের নেশা তার হিসেবের অঙ্কে সে উদাসীন। একদিন এক নষ্ট মেয়ের মোহে ধরা দিল সে।তাতেই নিষ্ঠাবতী কঠোর রমনী বিন্দির সমস্ত বিশ্বাস ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল।

স্বামীকে খুনের দায়ে বিন্দির কয়েদ হলো। দীর্ঘদিন পরে মুক্তি পেয়ে বিন্দি যখন নিজ লোকালয়ে ফিরে এলো, তখন সে আর বিন্দি নেই। রাক্ষুসী নামে আখ্যায়িত হয়েছে বিন্দি।

সামান্য মানুষের কঠোর জীবনযাপনের টানটান কাহিনী রাক্ষুসী। তাকে নিয়েই নাটক। ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার আগুনের পথে বিন্দিকে আরও হেঁটে যেতে হবে। অলাতচক্রের নির্মম গভীরে তাকে তূরিভূত হতে হবে। বিন্দির জিবন একজন সাধারণ বাঙালি রমনীর স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গের চালচিত্র।

মঞ্চে প্রবেশানুসারে যারা ছিলেন তারা হলেন, শহিদ পাটোয়ারী, ইয়াসমিন আক্তার ইভা, জসীম মেহেদী, মুহাম্মদ আলমগীর, মো. জসিম উদ্দিন, শরীফুল ইসলাম, রুনা আক্তার আশা, নিহা মনি, ইয়াসমিন আক্তার, কুহু দত্ত, মো. হানিফ, দোলন, শ্যামা, ফাতেমা জেরিন, চন্দন সরকার, হারুন আল রশিদ, মানিক দাস, ফয়সাল, হৃদয় কর্মকার, মেহেদী হাসান, সীমা আক্তার,  মিলি, ফাতেমাতুজ জোহরা, আখলাকুল ইসলাম লাকু, দীপক ভট্টাচার্য, দুলাল সরকার, মৃনাল সরকার, উম্মে আয়েশা খানম সস্পা, ফয়সাল ফরাজী, আফরোজা আক্তার, অন্তরা বিনতে জাকির, জয়রাম রায়, হেলাল সুখ প্রমূখ।

ফম/এমএমএ/শাপ/

শাহরিয়া পলাশ | ফোকাস মোহনা.কম